দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃশুক্রবার রাত পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় যে সূচি দিয়েছিল তাতে নরেন্দ্র মোদীর নেতাজি ভবনে যাওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু শনিবার সকালে জানা যায় প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন, তিনি নেতাজি ভবনে অল্প কিছুক্ষণের জন্য যাবেন। তা গেলেনও। কিন্তু বসু পরিবারের আপত্তিতে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, স্বপন দাশগুপ্তরা বাইরেই দাঁড়িয়ে রইলেন। এলগিন রোডে সুভাষ চন্দ্র বসুর বাড়িতে একাই ঢুকলেন প্রধানমন্ত্রী। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়ে গিয়েছে।
এদিন অসম থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে নামে প্রধানমন্ত্রীর বিমান। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে তিনি যান রেস কোর্সে। তারপর প্রধানমন্ত্রীর কনভয় যায় এলগিনে নেতাজি ভবনের উদ্দেশে।

প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় এদিন সকালে যে সংশোধিত সূচি দেয় তাতে বলা হয়, কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। কিন্তু নেতাজি পরিবারের তরফে প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ সুগত বসু বলেন, এই পবিত্র দিনে যেন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে নরেন্দ্র মোদী না আসেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আসতেই পারেন। তাই বিজেপি নেতারা যেন তাঁর সঙ্গে ভিতরে না প্রবেশ করেন।
শেষমেশ তাই হয়। নেতাজি ভবনের বাইরেই দাঁড়িয়েছিলেন কৈলাস এবং স্বপনবাবু। পরে সুগত বসু বলেন, “১৯৬১ সালে নেতাজি মিউজিয়াম তৈরি হওয়ার পর জওহরলাল নেহরু থেকে মনমোহন সিং– সমস্ত প্রধানমন্ত্রীই নেতাজি ভবনে এসেছেন। কিন্তু তাঁরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই এসেছেন। রাজনৈতিক নেতা হিসেবে নন।”

তিনি বলেন, “খুব সংক্ষিপ্ত সফর ছিল প্রধানমন্ত্রীর সবকিছু দেখা সম্ভব হয়নি। উনি দেখতে চেয়েছিলেন গুজরাতের হরিপুরায় অনুষ্ঠিত কংগ্রেস অধিবেশনের ছবি, যেখান থেকে নেতাজি সভাপতি হয়েছিলেন। আমি সেসব ছবি ওঁকে দেখিয়ে দিয়েছি।”
এ ব্যাপারে সুগত বসুর বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা বিজেপি নেতা তথাগত রায়। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীকে এই ফতোয়া দেওয়ার অধিকার ওঁকে কে দিয়েছে? উনি জানকিনাথ বসুর প্রপৌত্র আর নেতাজির দাদার ছেলে, এই পরিচয়ে এটা করা যায় না। আসলে তৃণমূলের লোকজনের অভ্যেসই হল অনধিকার চর্চা। মাননীয়ার নির্দেশেই এসব করেছেন তিনি।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here