এবছর করোনা আবহের মধ্যেই পুজোর বাদ্যি বেজেছে শহর জুড়ে এখন শুধুই পুজো পুজো গন্ধ। এ বছরের পুজো অন্য বছরের তুলনায় অনেকটাই আলাদা। রয়েছে বহু বিধিনিষেধ। তবে এই বছরের শুরু থেকে করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে বহু পরিযায়ী শ্রমিকরা সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। তাই এবার পুজোয় সেই পরিযায়ী শ্রমিকদের কথাই তুলে ধরেছে বেহালার বড়িশা ক্লাব। দক্ষিণ কলকাতার সেরা পুজো গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। ছবি-রতন সিনহা।
পুজো উদ্বোধন করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত পুজো কমিটিকে করোনা নিয়ে সতর্ক করেন। এ বছর তিনি যে পুজোগুলির উদ্বোধন করেছেন, সেখানেই বলেছেন, ‘‌করোনা এখনও রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই প্রতিমা দর্শন করবেন।’‌
আবার হিন্দুস্থান ক্লাবে প্রতিমা উদ্বোধন করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোম দিয়ে মণ্ডপের সামনে একটি বড় বৃত্ত এঁকে দেন। উদ্যোক্তা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে বলেন, ‘‌এই বৃত্তের ওপরে সুন্দর করে রং দিয়ে দিও। এখানে দাঁড়িয়ে একজন একজন করে প্রতিমা দর্শন করবেন।’
‌করোনা পরিস্থিতির জন্য এবারই প্রথম, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নের সভাগৃহ থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে জেলার পুজোর উদ্বোধন করেছেন। জেলার পুজোর উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথাও বলেছেন। সেখানেও বারবার সাবধান করেছেন,  ‘‌করোনা কিন্তু এখনও যায়নি। আপনারা সচেতন হয়ে উৎসব পালন করবেন। সব ধরনের মানুষকে উৎসবে শামিল করবেন। 
দুর্গাপুজো জাতীয় উৎসব। এমন কিছু করবেন না যাতে অন্যরা অসুস্থ হয়ে যায়। এই বিষয়ে ক্লাবগুলিকে বিশেষ ভূমিকা নিতে হবে।’‌ মুখ্যমন্ত্রী নবান্ন থেকে পুজোর উদ্বোধন করার পর প্রতিমা ও মণ্ডপের প্রশংসা করেছেন। শিল্পীদেরও প্রশংসা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্বোধনে খুশি পুজো উদ্যোক্তারাও ।
মুখ্যমন্ত্রী বড়িশা ক্লাব, অজেয় সংহতি, ৪১–‌‌এর পল্লী, বেহালা নতুন দল, খিদিরপুরের ৭৪ পল্লী, ২৫–এর পল্লী, হিন্দুস্থান ক্লাব ও কালীঘাটের বাড়ির সামনে, গলির মুখে কালীঘাট মিলন সঙ্ঘের প্রতিমা উদ্বোধন করেন।
শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব , এবারে কেদারনাথের আদলে সেজেছে পুজো মন্ডপ৷ ছবিগুলি তুলেছেন- রতন সিনহা৷

শারদোৎসবের রাতে কলকাতা রাজপথ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here