দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শতাব্দীও কি তৃণমূল ছাড়বেন, পৌষ মাস শেষ হতেই ফ্যান ক্লাবের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে হইচই
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মেদিনীপুর কলেজ মাঠে শুভেন্দু অধিকারী যেদিন আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগ দেন, তার আগেই একবার শতাব্দী রায়কে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে।


বৃহস্পতিবার পৌষ সংক্রান্তিতে ফের তাঁকে নিয়ে জল্পনা শুরু হল রাজ্য রাজনীতিতে। তার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে শতাব্দী রায় ফ্যান ক্লাবের ফেসবুক পেজের একটি পোস্ট। তবে সেটি ফার্স্ট পার্সনে লেখা। অর্থাৎ শতাব্দী রায় নিজেই তা লিখেছেন—এমনটা দাবি করা হয়েছে।

লেখা হয়েছে—“ এই নতুন বছরে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করছি যাতে আপনাদের সঙ্গে পুরোপুরি থাকতে পারি। আপনাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। 2009 সাল থেকে আপনারা আমাকে সমর্থন করে লোকসভায় পাঠিয়েছেন। আশা করি ভবিষ্যতেও আপনাদের ভালোবাসা পাব। সাংসদ অনেক পরে, তার অনেক আগে থেকেই শুধু শতাব্দী রায় হিসেবেই বাংলার মানুষ আমাকে ভালোবেসে এসেছেন। আমিও আমার কর্তব্য পালনের চেষ্টা করে যাব।”

এর পরেই পোস্টে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে লেখা হয়েছে-“ যদি কোনো সিদ্ধান্ত নিই আগামী 16 জানুয়ারি 2021 শনিবার দুপুর দুটোয় জানাব।”
ফ্যান ক্লাবের ওই পোস্ট নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে শতাব্দীকে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের তরফে ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। তাঁকে এ ব্যাপারে মেসেজও করা হয়েছে। এখনও জবাব পাওয়া যায়নি।

বস্তুত ১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুর কলেজ মাঠে যখন তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল বিজেপিতে সামিল হন, তখনই গেরুয়া শিবিরের তরফে দাবি করা হয়েছিল, বাংলায় শাসক দলের আরও অন্তত তিন জন সাংসদ একুশের ভোটের আগে দল ছাড়তে পারেন। এঁদের মধ্যে দু’জন মহিলা সাংসদ বলেও বিজেপির এক নেতা দাবি করেছিলেন।


তা ছাড়া সেই সময়েও শতাব্দীর দল ছাড়ার ব্যাপারে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু তখনও বীরভূমের সাংসদ এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। পরে জল্পনায় আপাতত জল ঢেলে বরং ২৯ ডিসেম্বর বোলপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোড শো-তে সামিল হয়েছিলেন তিনি। তা ছাড়া চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
শতাব্দীর ফ্যান ক্লাবের ওই পোস্টে ফার্স্ট পার্সনে আরও লেখা হয়েছে, “2021 খুব ভালো কাটুক। সুস্থ থাকুন, সাবধানে থাকুন। এলাকার সঙ্গে আমার নিয়মিত নিবিড় যোগাযোগ। কিন্তু ইদানিং অনেকে আমাকে প্রশ্ন করছেন কেন আমাকে বহু কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না। আমি তাঁদের বলছি যে আমি সর্বত্র যেতে চাই। আপনাদের সঙ্গে থাকতে আমার ভালো লাগে। কিন্তু মনে হয় কেউ কেউ চায় না আমি আপনাদের কাছে যাই। বহু কর্মসূচির খবর আমাকে দেওয়া হয় না। না জানলে আমি যাব কী করে? এ নিয়ে আমারও মানসিক কষ্ট হয়। গত দশ বছরে আমি আমার বাড়ির থেকে বেশি সময় আপনাদের কাছে বা আপনাদের প্রতিনিধিত্ব করতে কাটিয়েছি, আপ্রাণ চেষ্টা করেছি কাজ করার, এটা শত্রুরাও স্বীকার করে। তাই এই নতুন বছরে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করছি যাতে আপনাদের সঙ্গে পুরোপুরি থাকতে পারি”।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here