দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ১৫ জুন পর্যন্ত রাজ্যে কার্যত লকডাউন। ১৬ থেকে তা শিথিল হবে কি না সেই ঘোষণার সম্ভাবনা আজ সোমবার। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় বাংলায় জারি থাকা বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল হতে পারে বলে নানা মহলে ইঙ্গিত মিললেও গণপরিবহণ কবে চালু হবে তা নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েই গিয়েছে। রেল সূত্রের খবর, এরই মধ্যেই রেলের চিঠি পৌঁছেছে নবান্নে। চিঠিতে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে বলা হয়েছে, লোকাল ট্রেন চালাতে অনুমতি দেওয়া হোক।

পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেল ‌সীমিত সংখ্যক ট্রেন চালাচ্ছে। তাতে স্বাস্থ্য, ব্যাঙ্ক, টেলিকমের মতো জরুরি পরিষেবায় যুক্ত কর্মীদের মাসিক টিকিট কেটে ওঠার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া পূর্ব রেলের হাওড়া, শিয়ালদহ, আসানসোল, মালদহ এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর ডিভিশনে অল্প সংখ্যায় কিছু লোকাল চলছে।

তবে মেট্রো কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনও কোনও চিঠি দেয়নি। তারা জানিয়েছে, পরিষেবা চালুর প্রস্তুতি তারা রাখছে। পুরোটাই নির্ভর করছে রাজ্য সরকারের উপর।

রেল সূত্রের খবর, স্পেশাল ট্রেনগুলিতে সাধারণ যাত্রীরা উঠছেন। ফলে ভিড় সামলানো যাচ্ছে না। তাই পুরো মাত্রায় ট্রেন চালু হলে ভিড় কিছুটা কমবে বলে মনে করা হচ্ছে৷

প্রসঙ্গত,পরিবহণ দফতরের একটি নির্দেশিকায় জল্পনা তৈরি হয়েছে,  বুধবার থেকে বাস পরিষেবা চালু হতে পারে। ওই নির্দেশিকায় রাজ্যের পরিবহণ দফতরের কর্মীদের উদ্দেশে বলা হয়েছে ১৬ জুন বুধবার কর্মক্ষেত্রে যোগ দেওয়ার জন্য। এদিকে পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, যেহেতু আগের ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ তাই এই নির্দেশিকা নিয়মানুযায়ী জারি হয়েছে। পুরোটাই নির্ভর করছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তের উপর।

সূত্রের খবর, দীর্ঘ হচ্ছেছে রেলের আর্থিক ক্ষতির দিকটিও। লোকাল ট্রেন না চললেও মেরামতি ও রক্ষণাবেক্ষণের সমস্ত কাজই করতে হচ্ছে রেলকে। বেতন দিতে হচ্ছে কর্মীদের। ফলে মোটা টাকা লোকসান হচ্ছে রেলের। তাই করোনা সুরক্ষাবিধি মেনেই দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করার দিকে এগোতে চায় পূর্বরেল। অপেক্ষা শুধু রাজ্যের সবুজ সিগন্যালের। 

আজই হয়তো নবান্নে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী জানাবেন কী কী বিধি কার্যকর থাকবে। তারপরই স্পষ্ট হবে আদৌ মঙ্গলবার থেকে ট্রেন, বাস-সহ গণপরিবহণ চলবে কি না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here