দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বাংলায় প্রচারে এসে অমিত শাহ দাবি করেছেন, বিজেপি একাই দুশো পার করবে। আর মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের একদা সেকেন্ড ইন কমান্ড তথা সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় বলেছিলেন, “একুশের ভোটে তৃণমূল তিন অঙ্কের সংখ্যায় পৌঁছতে পারবে না। মিলিয়ে নেবেন।” অর্থাৎ, মুকুলবাবুর চ্যালেঞ্জ ছিল ৯৯-এর মধ্যে আটকে যাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।


চল্লিশ ঘণ্টা পার করে এ নিয়ে মুখ খুললেন প্রশান্ত কিশোর। তাতে এই পেশাদার ভোট কুশলী লিখেছেন, “মিডিয়ার একটা অংশ যতই হাইপ তুলুক, বিজেপি বাংলায় দুই অঙ্কের সংখ্যা টপকাতে হিমশিম খাবে।”
প্রশান্ত কিশোর এখানেই থামেননি। এও লিখেছেন, “এই টুইটটা সেভ করে রাখুন। অন্যথা হলে আমি এই স্পেসটা ছেড়ে দেব।” এই স্পেসটা বলতে হয়তো তিনি টুইটার ছাড়ার কথা বলেছেন। তবে টুইটের মেজাজ দেখে অনেকের মনে হচ্ছে পিকে তাঁর কেরিয়াকেই পাশার বোর্ডে রাখলেন।

পিকের টুইটের কিছুক্ষণের মধ্যেই পাল্টা টুইট করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাঁর কথায়, “বাংলায় যে ভাবে বিজেপির সুনামি বইছে তাতে সরকার গঠনের পর দেশে একজন ভোট কুশলী কমে যাবে!” কৈলাস কাকে উদ্দেশ্য করতে চেয়েছেন তা পরিষ্কার।

পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, ভোটের দোরগোড়ায় পৌঁছে যে ভাবে তৃণমূল ভাঙছে তাতে হয়তো শাসক দলের অনেকের মধ্যে হতাশা তৈরি হচ্ছে। কিংবা মনোবল ভেঙে যাচ্ছে। সম্ভবত তৃণমূল কর্মীদের মনোবল ধরে রাখতেই এই কথা লিখেছেন তিনি। এটা অনেকটা অমল দত্তর ডায়মন্ড সিস্টেমের মতো।
বস্তুত যে নেতারা তৃণমূল ছেড়েছেন বা ছাড়তে পারেন বলে আশঙ্কা রয়েছে, তাঁদের সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরও বৈঠক করেছেন। যেমন সূত্রের খবর, শুভেন্দুকে দল না ছাড়ার জন্য বারবার অনুরোধ করেছেন। অনেকের মতে, হয়তো প্রশান্ত তখনই বুঝেছিলেন, এঁরা দল ছাড়লে ভোটের আগে হতাশা গ্রাস করতে পারে। কিন্তু সেনাপতির কাজ হল, নেতিবাচক পরিস্থিতিতেও মনোবল জাগিয়ে রাখা। যে কারণে বাম-কংগ্রেস নেতারাও জোর দিয়ে না বলছেন, একুশে বাম-কংগ্রেসের সরকার হবে।


তা ছাড়া এও ঘটনা যে, ইদানীং তৃণমূলের ভিতর থেকেই এক শ্রেণির নেতা প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। সেই চাপও রয়েছে। ফলে বিষয়টাকে সামগ্রিকের প্রেক্ষাপটে দেখা ভাল বলে মনে করা হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here