দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ আজ শুক্রবার চলতি সপ্তাহের লক ডাউনে দ্বিতীয় দিন। বৃহস্পতিবার লকডাউন সম্পূর্ণ সফল হয়েছে। সারা দিনই দফায় দফায় বৃষ্টি হওয়ার জন্য গোটা কলকাতা ও রাজ্য ছিল কার্যত শুনশান। রাস্তাঘাটে ইতস্তত দু–‌চারটি গাড়ি ও মানুষ ছাড়া দুপুরের পর থেকে একেবারেই জনশূন্য হয়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্যই। আজ শুক্রবারও লকডাউন শুরু হয়েছে সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই জেলায় জেলায় ও কলকাতা শহরের নানা জায়গায় পুলিশের কড়া নজরদারি ছিল। বিনা প্রয়োজনে বেরোলেই চলেছে ধরপাকড়। লকডাউন ভাঙার জন্য ৫৪১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মাস্ক না পরার জন্য ২৭০ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া আইন না মানার জন্য ১৮ জন গাড়ি চালকের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা হয়েছে। বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে পুলিশকে ধাক্কা দেওয়ার জন্য গ্রেপ্তার হয়েছে ২ জন। 

আজও সকাল থেকেই কখনও ভারী ও কখনও হালকা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। জরুরি পরিষেবায় ছাড় রয়েছে । পুলিশি টহলদারি চলছে নানা জায়গাতেই। বেহালা থেকে শ্যামবাজার, মধ্য ও উত্তর কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকার রাস্তা ফাঁকা। গাড়ি দাঁড় করিয়ে পুলিশ মাঝে মাঝেই জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়া হয়েছে।  আজ শুক্রবার লকডাউনের পর পরের সপ্তাহে লকডাউন শুধু বৃহস্পতিবার। এবং তার পর ৩১ আগস্ট সোমবার লকডাউন হবে। এ মাসের মতো লকডাউন পর্ব শেষ।

বৃহস্পতিবারের মতো শুক্রবার সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ পিকেট মোতায়েন রয়েছে রাজ্য জুড়ে। তবে, জেলায় কয়েকটি জায়গায় সকালের দিকে দোকানপাট খোলা ছিল। ছোটখাটো বাজারও বসেছিল। পরে অবশ্য পুলিশ এসে তা বন্ধ করে দেয়। রাস্তায় অ্যাম্বুল্যান্স এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পরিষেবার গাড়ি দেখা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, আজ শুক্রবারও লকডাউন সফল করার জন্য সমস্ত ধরনের ব্যবস্থাই রাখা হচ্ছে।‌ 

বিধাননগরে লকডাউন ভাঙার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩৩ জনকে।  গাড়ি বাজেয়াপ্ত ১২টি।  বৃহস্পতিবার পুলিশ অনেক জায়গাতেই মাস্ক না–‌পরা অবস্থায় রাস্তায় বেরোলেই ধরে মাস্ক পরিয়ে বাড়ি পাঠাচ্ছে। কোথাও বা কান ধরে ওঠবোস করিয়েছে। ফাঁকা শহরেও যত্রতত্র থুতু ফেলার অভ্যাস যায়নি। সন্ধে পর্যন্ত ৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যেহেতু বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ পিকেট ছিল, তাই নিয়ম ভাঙলেই ধরা হয়েছে। 

ফাঁকা রাস্তায় বেপরোয়া গাড়ি চালাতে গিয়ে ধরা পড়েছে কয়েকজন। ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি সতর্কও করা হয়েছে। মাস্ক না–‌পরে বেরোলেই অনেক ক্ষেত্রেই থানায় নিয়ে গিয়ে অ্যারেস্ট মেমো হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের আদালত থেকে জামিন নিতে হবে।‌

সীমান্ত শহর বনগাঁ সহ হাবড়াতেও একই চিত্র, কড়া নজরদারি চলছে পুলিশ প্রশাসনের তরফে৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here