পার্থসারথি সেনগুপ্ত :নানা সময়ে নবান্নের তরফে সুলুক সন্ধান চলত কোন কোন দপ্তরে শূন্য পদ কত। এবার অবশ্য খোঁজ খবর নেওয়া চলেছে ২০১১ এর মে মাস থেকে ২০২৩ এর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন দপ্তর ও বিভাগে পাকা, অস্থায়ী বা চুক্তিতে কত কর্মী নিয়োজিত হয়েছেন। আর এই ব্যাপারে ছানবিন করছেন খোদ নবান্নের শীর্ষ প্রশাসনিক কর্তা অর্থাৎ মুখ্য সচিব বি পি গোপালিকা। তিনি গত ১৬ জানুয়ারি এই ব্যাপারে বিভিন্ন দপ্তরের সচিব তো বটেই, জেলা স্তরে জেলা শাসকদেরও একটি জরুরী চিঠি দিয়েছেন।

মুখ্যসচিব এই বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট সীমাও বেঁধে দিয়েছেন। তা হলো বিভাগীয় কর্তাদের তাদের কর্মরত মানবসম্পদের খতিয়ান জানুয়ারির ২২ তারিখের মধ্যেই পেশ করতে হবে।। তিনি তার চিঠির সাথে একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাটও দিয়েছেন। তাতে স্থায়ী ও অস্থায়ী দুই গোত্রের কর্মীদের আলাদা করে পরিসংখ্যান উল্লেখ করতে হবে। অর্থাৎ স্থায়ী ভিত্তিতে গ্রুপ এ, বি, সি ও ডি শ্রেণীর কত কর্মী তৃণমূল আমলে এ যাবত নিয়োজিত হয়েছেন, তার হিসাব চেয়েছে। এর সাথে রয়েছে চুক্তি ভিত্তিক ও অস্থায়ী ভাবে নিয়োজিত কর্মীর পরিসংখ্যান।

লক্ষনীয়, এক্ষেত্রে শিক্ষাক্ষেত্রেও নিয়োগের খতিয়ান চাওয়া হয়েছে। যেমন অধ্যাপক, শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী কত নিয়োগ হয়েছে, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে এক শীর্ষ আমলা বলেন, ” এটা অনবদ্য উদ্যোগ। কারণ, মানব সম্পদের সত্যিকারের খতিয়ান অর্থনৈতিক স্বার্থেই দরকার। ” অন্যদিকে, অন্য এক আমলার মতে , ” হালে নিয়োগ নিয়ে নানা অভাব অভিযোগ উঠেছে। সেই প্রেক্ষিতেও দরকার আসল ছবি টা পাওয়ার। যাতে দুর্নীতির শিকড় টেনে তুলে ফেলা যায়। “
রাজনৈতিক ভাবে এই পরিসংখ্যান জরুরি বলেও ধারণা কোনো কোনো মহলের। কারণ, সরকাররের বিরোধিতায় অনেক সময়ই বিরোধীরা সরব হয়ে যে রাজ্যে চাকরীর হাহাকার। রাজ্যের তরুণরা জীবিকার সন্ধানে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে। বিরোধীদের মুখের উপর এর সঠিক উত্তর দিতেও সরকারের হাতে সরকারি স্তরে যথা যথ পরিসংখ্যান দরকার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here