ইন্দ্রজিৎ রায়, দেশের সময়, শান্তিনিকেতন:

এনআরসি ও সিএএ ইস্যুতে রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় হিংসার ঘটনায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কৈলাস বিজয়বর্গীয় আজ পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ পরিদর্শন করবেন, তার আগে বীরভূম জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডলের সাথে সাক্ষাৎ করেন শান্তিনিকেতন টুরিস্ট লজে। বীরভূম জেলার বিজেপি কর্মী ও নেতাদের সাথে মিলিত হওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান – পশ্চিমবঙ্গে যে হিংসার ঘটনা ও অরাজকতার সৃষ্টি হয়েছে তার জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি অভিযোগ করেন গত ১৪ডিসেম্বর হিংসার ঘটনায় কেন্দ্রীয় সম্পত্তি তথা রেলের সম্পত্তি ধ্বংস করেন অনুপ্রবেশকারীরা। এই ঘটনায় প্রায় ৪০০কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেন এবং এই ঘটনা সম্পূর্ণ জেনে বুঝে করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাথে তিনি আরো জানান বীরভূম জেলার মুখ্যমন্ত্রীর নাম কেষ্ট মণ্ডল, তাঁর হাবভাব, আচার-আচরণ মুখ্যমন্ত্রীর মতই, তিনি থানায় নির্দেশ দেন বিজেপি নেতা কর্মীদের মিথ্যা কেসে জড়ানোর। এদিন তিনি একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী কে, বলেন মুখ্যমন্ত্রীর অহংকারের জন্যই এই হিংসার ঘটনা ঘটছে, তিনি চাইছেন বলেই অরাজকতার ঘটনা চারিদিকে ঘটছে। তিনি চাননা সিএএ চালু হোক। গণতান্ত্রিক দেশে কোন মুখ্যমন্ত্রীই পারেন না, পার্লামেন্টের আইন ভাঙতে। উনি না মানলে কিছু এসে যায়না, নাগরিক আইনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন ভারত সরকার।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস ও বিপক্ষ দল যারা মোদিজীর কাছে লড়াইয়ে পরাজিত হয়েছেন, তাঁরা হতাশগ্রস্ত দল, সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন। যারা ভারতীয় মুসলমান, ভারতে বসবাস করছেন, তাদের নাগরিকত্ব ভারতীয় হিসেবে পরিচিতি পাবে। সিএএ এর মাধ্যমে যে আইন তৈরি হচ্ছে তা নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য, ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য নয়। কিছু রাজনৈতিক দল নিজেদের ফায়দা লোটার জন্য মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গে এখনো এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যার জন্য রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে হবে।

আজ মুর্শিদাবাদ পরিদর্শন করে কি পরিস্থিতি রয়েছে তা কেন্দ্রে জানাবো। যারা চারিদিকে হিংসা ঘটনা ঘটিয়েছেন, ট্রেনে আগুন লাগিয়েছেন তাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here