দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কোচবিহারের জনসভা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করা নিয়ে নিদান দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট দিতে যাওয়ার সময় মহিলা ভোটারদের নিদান দিয়েছেন সিআরপিএফ জওয়ানদের ঘেরাও করার। যা নিয়ে বুধবার সরগরম রাজ্য-রাজনীতি।

এরই প্রেক্ষিতে এবার মুখ্যমন্ত্রীকে সেন্সর করার দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল বিজেপি। এদিন শিশির বাজোরিয়ার নেতৃত্বে বিজেপি-র একটি প্রতিনিধি দল কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁদের দাবি, ‘অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীকে সেন্সর করতে হবে। নাহলে বাংলায় অশান্তি লেগে যাবে।’

অন্যদিকে, সিপিআইএম নেতা রবীন দেব বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে বিরোধী নেত্রী হিসেবে তিনি এই ধরণের আচরণ অনেক করেছেন। কিন্তু, একজন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর এই মন্তব্য মানায় না। সিআরপিএফ জওয়ানদের ঘেরাও করতে বলে তিনি দুষ্কৃতীদের আরও প্ররোচনা দিচ্ছেন। ফলে বাংলায় রিগিং, ইভিএম চুরি এমনকী প্রার্থীদের উপর হামলার ঘটনা আরও ঘটবে।’ বাম নেতার আরও সংযোজন, ‘আমরাও মনে করি না কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা সবটাই সদর্থক। কিন্তু, সেই অভিযোগ জানানোর নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। একজন মুখ্যমন্ত্রী সংবিধান বহির্ভূত আচরণ করতে পারেন না।’

উল্লেখ্য, এদিন কোচবিহারের জনসভা থেকে তৃতীয় দফার ভোটের হিংসা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘ভোট এলেই পুলিশ বিজেপি হয়ে যায়। আরামবাগে আমাদের প্রার্থী সুজাতার উপর হামলা চালানো হয়েছে। ওখানকার ওসি-কে আমরা নজরে রাখছি।’ প্রসঙ্গত, তৃতীয় দফা নির্বাচনের সকালেই মমতা কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে সরব হন। টুইট করে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। এদিন ফের একবার কোচবিহারের জনসভা থেকে তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ‘একদিনের অতিথি’ বলে তোপ দাগেন। তাঁর আরও সংযোজন, ‘তাঁরা তো ভোট মিটে গেলেই চলে যাবেন। তারপর তো আমরা থাকব।’ এছাডা়ও এদিন মমতা নন্দীগ্রামের কথার পুনরাবৃত্তি করেন। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশেই বাংলায় আধাসেনা অশান্তি করছে, ভোটারদের প্রভাবিত করছে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here