দেশের সময় ,হাবরা: টানা কদিন ধরেই দু বেলা কখনো পায়ে হেঁটে আবার কখনো বা হুড খোলা গাড়িতে ভোটের প্রচারের কাজ সারছেন হাবড়া বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সকাল সাড়ে সাতটা থেকে দলীয় কর্মীদেরকে সঙ্গে নিয়েই কখনো হাবড়া পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের ওলিতে গলিতে, আবার কখনোবা কুমড়ো, পৃথিবা, রাউতাড়া, মছলন্দপুর ২ পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে জনসংযোগের পাশাপাশি প্রচার সারছেন তিনি।


প্রচারে বের হয়ে দলীয় কর্মী সমর্থকদের পাশাপাশি সাধারণত মানুষেরাও তাকে বরন করার জন্য কারোর হাতে শঙ্খ, আবার কারোর হাতে ফুলের মালা, গোলাপ, চন্দনের বাটি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা গিয়েছে। হাবড়া পৌরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সত্তর উর্ধ নিমাই বিশ্বাসের কথায়,” আজ উনার জন্য আমি বার্ধক্যভাতা পেয়েছি। ঘন্টার পর ঘন্টা লাইন দিতে হয় নি। আমাদের মতো মানুষদের বয়স হয়ে গেছে বলে আমাদেরকে আনন্দ দেওয়ার জন্য আমার ও আমার স্ত্রীর পাশাপাশি আমাদের মতো অনেক প্রবীণ দম্পতির জন্য উনি বেশ কয়েক বছর ধরে শীতকালে কম্বল দেওয়ার পাশাপাশি পিকনিকেরও ব্যবস্থা করেন”।

কুমড়ো কাশীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বছর চল্লিশের অমিত মন্ডলের কথায়,” আমি বিগত দিনে আমার কাস্ট সার্টিফিকেট তোলার জন্য কুড়ি বছর ধরে প্রশাসনের বিভিন্ন দরজায় ঘুরেও কাজ হয়নি। কিন্তু জ্যোতিপ্রিয়বাবুর জন্য মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে আমি আমার বাড়ির পাশের থেকেই কাস্ট সার্টিফিকেট পেয়ে গেছি। আমাদের কোন বিডিও, এসডিও অফিসে যেতে হয় নি। আমাদের স্কুলেই সরকারি দপ্তরের লোকজনদেরকে উনি নিয়ে এসেছিলেন। উনার কাছে আমি কৃতজ্ঞ “।

পৃথিবা পঞ্চায়েতের বামাহাটির বাসিন্দা মনোরঞ্জন কীর্তনিয়া, স্বপন মালাকাররা বলেন,”আমরা যখন যে কাজে ডেকেছি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কে পাশে পেয়েছি। তিনি আমাদের কে সব ধরনের সাহায্যও করেছেন। আমাদের এলাকায় বিভিন্ন পূজা থেকে শুরু করে কীর্তন, মেলায় তিনি হাজির থাকেন”। হাবড়া পৌরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সঞ্জয় পাল, পল্টু বিশ্বাস, রীতা হাওলাদারেরা বলেন, “করোনা,লকডাউন ও আমফান মোকাবিলায় বালুদা যেভাবে আমাদের বিপদের দিনে পাশে দাঁড়িয়েছেন সত্যিই তাতে আমরা কৃতজ্ঞ উনার প্রতি। উনি আমাদের জন্য অনেক কিছু উজার করে দিয়েছেন।

এবার উনার ঋণশোধ করার পালা আমাদের। এলাকায় যদি জল জমে কিংবা কোথাও আগুন লাগলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় তিনি হাজির হয়ে আমাদের কে সবধরনের সাহায্য ও সহযোগিতা করে থাকেন”। রাউতাড়া পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা আমির আলি, আশিক মোল্লাদের কথায়,”ঈদের আগের দিন বালুদা আমাদেরকে ফুল, মিষ্টি এবং নতুন পোশাক পাঠিয়ে থাকেন। ঈদের দিন উনাকে আমরা পাশে পেয়ে থাকি।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here