দেশের সময় ওযেবডেস্কঃ নারদকাণ্ডে রাজ্যের দুই মন্ত্রী , এক বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রীর গ্রেফতারি ঘিরে দিনভর সরগরম রইল বঙ্গ রাজনীতি।

সোমবার সকালে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে৷ দিনের শেষে অন্তর্বর্তী জামিন পান ফিরহাদ হাকিম,মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়রা। জামিনের পরই বিজেপি-র বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন ফিরহাদ হাকিম।

সিবিআই আদালতের নির্দেশে অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরই নেটমাধ্যমে বিজেপি-র বিরুদ্ধে সরব হলেন ফিরহাদ (ববি) হাকিম। তাঁর অভিযোগ, করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের সমস্ত কাজকর্ম স্তব্ধ করার পরিকল্পনাতেই দুই মন্ত্রী-সহ ৪ নেতাকে সোমবার সকালে সিবিআই-কে দিয়ে গ্রেফতার করানো হয়েছিল।

সোমবার রাতে ফেসবুকে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার পুরপ্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান লিখেছেন, ‘আজ শুধু আমার এবং আমার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া এবং হেনস্থা করার দিন ছিল না। ছিল, বাংলার আমজতার বিরুদ্ধে বিজেপি-র প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার দিন।’ ফিরহাদের অভিযোগ, সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা ভোটে তৃণমূলকে বিপুল ভাবে জয়ী করার ‘অপরাধে’ই বাংলার মানুষের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের শাসকদলের এই প্রতিহিংসা।

ফিরহাদ হাকিম আরও বলেছেন, ‘আজ কেবল আমার ও আমার সহকর্মীদের হেনস্থা ও প্রতিহিংসামূলক আচরণ করার দিন ছিল না। বাংলার জনগণের উপর প্রতিহিংসামূলক আচরণ ছিল বিজেপি-র। বাংলায় বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সে কারণেই বাংলার মানুষের উপর ওদের এত রাগ। বাংলার উপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে গিয়ে কোভিডের কাজ থমকে দিতে চেয়েছে বিজেপি। ওদের কাছে বাংলার ক্ষমতা দখল দেশের লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুর থেকেও গুরুত্বপূর্ণ’।

এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ আরও বলেছেন, ‘নির্বাচনে কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে বিজেপি৷ তথ্যের অধিকার আইনে প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলের হাজার হাজার কোটি টাকা প্রশ্নের মুখে…যে স্টিং অপারেশনটা ওরা করেছে, সেটার কোনও ভিত্তি নেই। কোনও প্রমাণ নেই। ওরা কেবল আমাদের অপদস্থ করতে চায়। আমার যে সহকর্মীরা ওদের চাপের কৌশলের কাছে মাথা নত করে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন, তাঁরা আজকের গ্রেফতারি ও সিবিআই-এর হেনস্থা থেকে রেহাই পেয়েছেন। বিজেপি এতটাই নীচে নেমে গিয়েছে যে, যখন দেশ তার দেশবাসীকে হারাচ্ছে, তখন তারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় মনোনিবেশ করছে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here