দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনকে ভয় পাচ্ছে বিজেপি। দিল্লিতে সেই ভয়ে হস্টেল বন্ধ করে দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাজাবাজার থেকে সিএএ–এনআরসি বিরোধী প্রতিবাদ মিছিলের শুরুতে এমনটাই বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছাত্রবিক্ষোভকে সমর্থন করে এদিন তিনি বলেছেন, ‘‌বিজেপি আন্দোলন ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আন্দোলন করলে পড়ুয়াদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। আন্দোলনের ভয়ে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে হস্টেল। ভয় দেখিয়ে আন্দোলন বন্ধের চেষ্টা মানুষ মেনে নেবে না।’


কর্নাটকে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাবে আইএনটিটিইউসি–র সদস্যরা
সেকথা এদিন রাজাবাজারে ঘোষণা করেন মমতা। একইসঙ্গে উত্তর প্রদেশে বিক্ষোভকারীদের চিহ্নিত করে তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নোটিস এবং গ্রেপ্তারির ঘটনায় যোগী সরকারের তীব্র নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপিকে পরোক্ষে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘‌গায়ের জোর দেখাবেন না। ‌এখন অনেক রাজ্যেই বিজেপি বিরোধী সরকার আছে। যদি সেখানে বিজেপি কর্মীদের উপর দমনপীড়ন হয় সেটা কি ভালো হবে।’‌


বিজেপি বিভেদের রাজনীতি করছে বলে মনে করিয়ে দিয়ে কাউকে কোনওরকম উস্কানিমূলক কথায় কর্ণপাত না করতে আবেদন করেছেন মমতা।


সিএএ আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত মহাত্মা গান্ধীর দেখানো পথে শান্তিপূর্ণভাবেই রাস্তায় নেমে তাঁদের আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন মমতা। মোদি সহ বিজেপি নেতাদের পরস্পর বিরোধী মন্তব্যকে ঠুকে বিজেপির উদ্দেশ্যে মমতার বার্তা, ‘‌জীবন দিয়ে অধিকার রক্ষার আন্দোলন চলবে। প্রত্যেক ভারতীয় এদেশের নাগরিক। এদেশের ভোটার। আমরা সবাই আন্দোলনে আছি। এখানে হিন্দু–মুসলিম ভাগাভাগি করবেন না।’‌
পরে মল্লিক বাজারে পৌঁছে মমতা ঘোষণা করেন, ম্যাঙ্গালুরুতে সিএএ বিক্ষোভে যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারপিছু তৃণমূল পাঁচ লক্ষ টাকা চেক দেবে।

এদিনও মমতা বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন ‘‌আগুন নিয়ে খেলবেন না।’‌
এদিন রাজাবাজার থেকে হাজার হাজার মানুষ মমতার মিছিলে যোগ দেন। দীর্ঘ মিছিলে ছিল শুধু কালো মাথার ভিড়। রাস্তার ধারে, বাড়িতে, পথে, ফুটপাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন আরও লক্ষ লক্ষ মানুষ। রাজাবাজার থেকে শিয়ালদহ হয়ে মিছিল যখন মৌলালি পৌঁছয় তখনও মিছিলের শেষভাগ রাজাবাজারেই ছিল।

ছবি:‌ এএআইটিএমসি টুইটার৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here