দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মদের দোকানের শাটার খুলতে না খুলতেই লাইনে দাঁড়িয়ে পড়লেন শয়ে শয়ে মানুষ। সোমবার সকালে এমনই ছবি দেখা গেল কলকাতা সহ জেলার একাধিক জায়গায়। সুরাপায়ীদের ভিড় হঠাতে লাঠিচার্জ করতে হল পুলিশকে।

কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকায় মদের দোকান খোলায় অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট বিধি মেনে তা করতে হবে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তার অন্যতম দুটি শর্ত– মদের দোকানের সামনে পাঁচ জনের বেশি জড়ো হওয়া যাবে না এবং একজনের থেকে আরএক জনের দূরত্ব থাকতে হবে ছ’ফুট।

কিন্তু কালীঘাট দমকল কেন্দ্রের পাশের মদের দোকান থেকে মদ কেনার জন্য সোমবার সকালে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়লেন কয়েকশ মানুষ। তাঁদের মধ্যে দু’গজের দূরত্ব তো অনেক দূরের কথা দু’ইঞ্চিও ফাঁক নেই। একজনের ঘাড়ে আর একজন উঠে পড়ার মতো অবস্থা।

এই পরিস্থিতি তৈরি হতেই ঘটনাস্থলে যায় কালীঘাট থানার পুলিশ। লাঠি চালিয়েও ভিড় ফাঁকা করতে পারেনি প্রশাসন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে মদের দোকানের মালিককে দোকান বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় পুলিশ।

শুধু কালীঘাট নয়। ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজারেও একই ছবি দেখা গিয়েছে এদিন। গোটা ঘটনায় উদ্বিগ্ন লালবাজারের শীর্ষ পুলিশ কর্তারা। তাঁদের অনেকের মতে, এখনই যদি নির্দেশিকা জারি করে মদ বিক্রিতে নিয়ন্ত্রণ না করা যায় তাহলে বড় বিপদ ঘটে যাবে।

শুধু কলকাতা নয়, জেলাতেও ছবিটা এক। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে মদের লাইনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে মদ না মেলায় দোকান ভাঙচুরের চেষ্টা হয় এদিন। হুগলি, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমানেও মদের দোকানের বাইরে থিকথিকে ভিড়ের ছবি দেখা গিয়েছে। কোথাও সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই।উত্তর২৪পরগনার বনগাঁ নিউমার্কেট, ট’বাজার,মতিগঞ্জ এবং বিএসএফ ক্যাম্প মোড়, গোপাল নগর বাজার এলাকায় ক্রেতাদের অতিরিক্ত ভিড়ের জন্য পুলিশ মোতায়েতন করতে বাধ্য হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

রাজ্য সোমবার দুপুর পর্যন্ত কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি। গত ২ মে রাজ্যের নির্দেশিকা জারির কথা থাকলেও অজ্ঞাত কারণে তা স্থগিত করে দেয় নবান্ন। রুটিন সাংবাদিক বৈঠকও হয়নি গতি ৩০ এপ্রিলের পর থেকে। এখন দেখার মদের দোকান খোলা নিয়ে.কলকাতা থেকে জেলায় যে ছবি ধরা পড়েছে তারপর কী সিদ্ধান্ত নেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here