দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সোমবার রাতে আচমকাই কেঁপে উঠল উত্তরবঙ্গ। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কালিম্পং সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক অংশে ভূমিকম্প অনুভূত হল। আতঙ্কে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন মানুষজন। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৬.১। কম্পনের মৃদু প্রভাব পড়েছে কলকাতাতেও। মূলত সল্টলেক চত্বরেই কম্পন অনুভূত হয়েছে।

এদিন রাত ৮.৫০ নাগাদ কেঁপে ওঠে জলপাইগুড়ি ও লাগোয়া অঞ্চল। আতঙ্কিত জলপাইগুড়ির শহরবাসীরা ঘর ছেড়ে ছুটে আসেন বাইরে। ভূমিকম্প হয়েছে জানান দিতে, বাড়ির বয়স্ক মহিলারা বাজাতে থাকেন শঙ্খ।

ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত জলপাইগুড়ি জেলায় কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির খবর নেই। বিদ্যুৎ যোগাযোগও স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান জলপাইগুড়ি জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা।


প্রথমে নেপাল-সিকিম সীমান্তের কাছে এর উৎপত্তিস্থল বলা হলেও পরে জানানো হয় ভারত-ভূটান সীমান্তে এর এপিসেন্টার। সেখানে ১০ কিলোমিটার গভীরে এর উৎপত্তি বলে জাতীয় ভূমিকম্প বিষয়ক দফতর থেকে জানানো হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের সূত্র অনুযায়ী, এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৪। জানা গিয়েছে শুধু বাংলায় নয় অসম এবং বিহারেও কম্পন অনুভব হয়েছে।

জলপাইগুড়ির বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাঁরা বাড়িতেই ছিলেন। হঠাৎই বাড়ির মধ্যে কম্পন অনুভূত হয়। তাই ভয়ে তাঁরা বাড়ির বাইরে বেরিয়ে পড়েন। ঘটনার পরেই আতঙ্কিত বাসিন্দারা রাস্তায় ভিড় করেন।

জানা গিয়েছে, এদিনের ভূমিকম্পের উৎসস্থল সিকিমের গ্যাংটক। মাত্র কয়েক সেকন্ডের জন্য কম্পন স্থায়ী হলেও এর প্রভাব পড়েছে সিকিম জুড়ে। প্রচুর মানুষ আতঙ্কে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। এদিকে, জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে ভুমিকম্প অনুভূত হয়। সন্ধ্যা ৮টা ৪৯ মিনিট ৫৯ সেকেন্ডে এই কম্পন হয়েছে বলে খবর। যদিও এর জেরে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনও পর্যন্ত মেলেনি। জলপাইগুড়ি ছাড়াও কম্পন অনুভূত হয়েছে আলিপুরদুয়ার, শিলিগুড়ি, ময়নাগুড়ি, কোচবিহার, মালদা, উত্তর দিনাজপুর সহ উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায়। ভূমিকম্প হয়েছে মুর্শিদাবাদেও। জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের মাদার আন্ড চাইল্ড হাবে কম্পনের ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

সল্টলেকের একাধিক আকাশছোঁয়া বিল্ডিংগুলিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সোমবার রাতে। একাধিক তথ্যপ্রযুক্তি দফতর থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসতে দেখা যায় কর্মরতদের। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। তবে উত্তরবঙ্গের তুলনায় কলকাতায় কম্পনের প্রভাব কম ছিল বলেই জানা গিয়েছে।

নির্বাচনী প্রচারে এই মুহূর্তে শিলিগুড়িতে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভূমিকম্পের খবর পেয়েই উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল তাঁকে ফোন করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here