দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ ইয়াসের ক্ষত না শুকোতেই শনিবার ভরা কোটাল-কাঁটা! অশনি সংকেত দেখছে সুন্দরবন৷ পূর্ণিমার কোটালের জেরে শনিবার ফের জলস্ফীতির আশঙ্কা রয়েছে সুন্দরবন ও উপকূল এলাকায়। ইতিমধ্যেই নবান্ন থেকে এ বিষয়ে সতর্কতা জারি করে জেলা প্রশাসনকে সব ধরনের পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর,আজ দুই বঙ্গেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে৷দক্ষিণবঙ্গের উত্তর এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদের রয়েছে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুরেও হতে পারে বৃষ্টি।

এদিকে ঠিক এক মাসের মাথায় আবারও কোটালের জেরে ‘ইয়াস’ আতঙ্ক ফিরছে সুন্দরবনে । মড়ার উপর যেন খাঁড়ার ঘা,ভরা কোটালের জেরে জলস্ফীতি দেখা দেবে নদীগুলিতে৷ যা নিয়ে অশনি সংকেত দেখছে সুন্দরবনবাসী।

২৬ তারিখ বান আসার কথা নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়ে অনেক আগেই সতর্ক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।আজ সেই উদ্বেগের ২৬ জুন।

কলকাতা পুরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তরফে জানানো হয়েছে, বানের কারণে শনিবার লকগেট বন্ধ রাখা হবে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। বেলা ১২.১০ থেকে বিকেল ৪.১০ পর্যন্ত চার ঘণ্টা গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে লকগেটে।গঙ্গার পাশের লকগেটগুলি সবই বন্ধ থাকার কারণে বৃষ্টি হলে শহরে জল জমা অবধারিত। পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে জল জমবে ঠিকই, তবে লকগেট আবার খুলে দিলেই দ্রুত তা নেমেও যাবে।

শুক্রবার সকাল থেকেই উপকূল এলাকায় মাইকিং শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশ মেনে সাগর ব্লকের ভাঙন কবলিত ঘোড়ামারা দ্বীপ থেকে ৫০০ মানুষকে সরিয়ে আনা হয়েছে মূল ভূখন্ডে। এছাড়াও নামখানা ব্লকের মৌসুনি দ্বীপ এবং উপকূল এলাকা থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষকে ত্রাণ শিবিরে সরানো হয়েছে। প্রয়োজনে পাথরপ্রতিমা, রায়দিঘি, গোসাবা ও পাথরপ্রতিমার নদী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদেরও সরানো হবে বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে।

কোটালের মোকাবিলায় প্রশাসনের তরফ থেকে কোনওরকম খামতি যাতে না থাকে সেই বিষয়ে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে নবান্নেও।জলস্ফীতির জেরে বাঁধ উপচে জল ঢুকে ফের নতুন করে সমস্যা তৈরি করতে পারে সুন্দরবনে। তাই আগেভাগেই উপকূল ও নদী তীরবর্তী এলাকার ত্রাণ শিবির প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে দুর্গতদের জন্য থাকা খাওয়ারও বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রতিটি মহকুমায় নাগরিক প্রতিরক্ষা দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আজ শনিবার জেলা সদর আলিপুরের কন্ট্রোল রুম থেকেই পরিস্থিতির উপর নজর রাখবে জেলা প্রশাসন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here