ইন্দ্রজিৎ রায় শান্তিনিকেতন
শিল্প, শিল্পকর্ম ও শান্তিনিকেতন এই তিনটি নাম একে অপরের পরিপূরক। এ যেন একটি ছাড়া অপর গুলির অস্তিত্ব নেই। তবুও কোন একটা জায়গায় যেন শূন্যস্থান ছিল, শূন্যস্থান ছিল বড় মাপের শিল্পীদের শিল্পকর্ম বিকিকিনির জায়গার। আর তাঁদের শিল্পকর্ম মানেই দাম আকাশছোঁয়া। সাধ থাকলেও অনেক সময় থাকেনা সাধ্য। সেই সাধ ও সাধ্যকে এক জায়গায় নিয়ে এসেছে শান্তিনিকেতনের প্রাচী-প্রতিচী আর্ট গ্যালারি।
পি-পাস শীর্ষক চিত্র ও শিল্প প্রদর্শনীর মাধ্যমে
শিল্প রসিক বাঙ্গালীদের হাতের নাগালে ভুবন বিখ্যাত শিল্পীদের ছবি। সোমবার সন্ধ্যায় এই শিল্প প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বিখ্যাত লেখক ও সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ ও প্রাচী-প্রতিচী আর্ট গ্যালারির কর্ণধার তাপস মল্লিক।
শিল্পের মূল্য শিল্প রসিকের কাছে। যদিও শিল্পের একটা বাজার মূল্য আছে, যা কখনোই শিল্পী নিজে নির্ধারণ করেনা, করে শিল্প ব্যবসায়ীরা। স্বাভাবিক ভাবে যে সব শিল্পীরা তাদের সৃষ্টিকর্ম দিয়ে দেশ তথা দুনিয়ার শিল্পকে সমৃদ্ধ করে, তাদের দিকেই নজর থাকে শিল্প ব্যবসায়ীদের, সেই সব শিল্পীদের শিল্পকর্মের বাজারমুল্য থাকে আকাশ ছোয়া। প্রথিত যশা সেই সব শিল্পীদের শিল্পকর্ম বাজার মূল্যের কারণে, ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকে সাধারণের ।
শান্তিনিকেতনের কলাভবন বাংলার শিল্পের আঁতুড়ঘর। এখান থেকেই অবনীন্দ্রনাথ, রামকিঙ্কর, বিনোদবিহারী, যোগেন চৌধুরি, কেজি সুব্রামানিয়া্ন সহ অনেক দিকপালদের কর্মযজ্ঞ শুরু। অথচ শান্তিনিকেতনের শিল্প প্রেমীদের কাছে তাঁদের কাজ অধরা। প্রথমত শিল্পকর্ম বিক্রির কোন প্রতিষ্ঠান শান্তিনিকেতনে গড়ে ওঠেনি অন্যদিকে এই সব শিল্পীদের কাজের বাজার মুল্য আকাশ ছোঁয়া, এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে অনেক কমদামে হাতের নাগালে আসবে তাঁদের সম্ভার।
পাঁচ হাজার থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকার মধ্যে প্রখ্যাত শিল্পীদের শিল্পকর্ম পৌঁছে দেবার তাগিদে শান্তিনিকেতনের প্রাচী-প্রতিচী আর্ট গ্যালারি এই আয়োজন বলে জানান সংস্থার কর্ণধার তাপস মল্লিক।
এম এফ হুসেন, সোমনাথ হোড় গণেশ পাইন ,কেজি সুব্রামানিয়ান, শাহাবুদ্দিন, রফিকুন্নবী, যোগেন চৌধুরি,শুভাপ্রসন্ন, সনৎ কর, সনাতন দিন্দা সহ দুই বাংলার ৫০ জন শিল্পীর শিল্পকর্ম নিয়ে ১৩ দিনের এই প্রদর্শনীতে থাকছে ১০০ টির বেশি শিল্পকর্ম। সর্বসাধারনের জন্য এই প্রদর্শনী চলবে ২৫ শে জুন পর্যন্ত। প্রত্যহ সকাল ১১ টা থেকে রাত ১০ টা অব্দি।