বিধানসভা ভোটে আজ ফের মনোনয়ন পেশ মুকুলের

0
1306

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বিধানসভা ভোটে আজ ফের মনোনয়ন পেশ করতে চলেছেন সর্বভারতীয় বিজেপির সহ সভাপতি মুকুল রায়। কৃষ্ণনগর উত্তর আসনে প্রার্থী হয়েছেন মুকুলবাবু। এদিন স্থানীয় মন্দিরে পুজো দিয়ে দুপুরে জেলা শাসকের দফতরে গিয়ে মনোনয়ন পেশ করার কথা তাঁর। সেই রোড শো-তে সামিল হতে পারেন কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ও সর্বভারতীয় বিজেপিতে তাঁর বন্ধুবর কৈলাস বিজয়বর্গীয়।


অতীতে ২০০১ সালে মুকুল বাবু একবার জোড়াফুল প্রতীকে প্রার্থী হয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলে। সে বার কংগ্রেস, তৃণমূল জোট হয়েছিল। তখন বাংলায় বামেদের প্রবল দাপট। জগদ্দল অঞ্চলে সিপিএমের ‘সন্ত্রাসের’ খবর আকছার থাকত সংবাদমাধ্যমে।

প্রথমে ওই আসনে সুখেন্দুশেখর রায়কে প্রার্থী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সুখেন্দুবাবু দেওয়াল লিখনকে কেন্দ্র করে বচসার ঘটনায় সিপিএমের হাতে আক্রান্ত হন। ফলে তাঁর পরিবর্তে মুকুল রায়কে প্রার্থী করা হয়। শেষমেশ অল্প ব্যবধানে পরাস্ত হন মুকুল রায়।


তার পর থেকে মুকুলবাবু আর ভোটে লড়েননি। ২০০৬ এবং ২০১২ সালে রাজ্যসভায় নির্বাচিত হন। কেন্দ্রে জাহাজ প্রতিমন্ত্রী ও রেলমন্ত্রী ছিলেন। তার পর ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে তৃণমূল ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যসভা থেকেও ইস্তফা দেন।

তৃণমূল জমানায় দলের সেকেন্ড ম্যান তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাণক্য বলে পরিচিতি ছিল মুকুলবাবুর। ভোটে দাঁড়িয়ে না জিতলেও দলে তাঁর স্থান বা উচ্চতা ছিল মমতার পরই।


বাংলার রাজনীতিতে এরকম উদাহরণ আরও রয়েছে। প্রণব মুখোপাধ্যায় অতি অল্প সময়েই ইন্দিরা গান্ধীর কাছের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু প্রথম জীবনে কখনও লোকসভা ভোটে জেতেননি। দু’বার দাঁড়িয়ে হেরে যান। দ্বিতীয়বার বোলপুর থেকে প্রার্থী হওয়ার সময়ে ইন্দিরা গান্ধী তাঁকে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু তিনি শোনেননি। পরে হেরে যাওয়ার পর ইন্দিরার কাছে বকুনিও খেতে হয়।

শেষমেশ ৬৮ বছর বয়সে প্রণববাবু আবার লোকসভা ভোটে প্রার্থী হয়েছিলেন। সেই তুলনায় মুকুলবাবু দ্বিতীয় বার বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হচ্ছেন ৬৬ বছর বয়সে। কৃষ্ণনগর উত্তর আসনে মুকুলবাবুর নাম ঘোষণার পর এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রচারে নামেননি তিনি। বরং সাংবাদিকরা কিছু জানতে চাইলে বলেছেন, যা বলার ২৬ তারিখের পর বলব।


তবে প্রচারে না নামলেও গত দশ দিন ধরে কৃষ্ণনগরে স্থানীয় সব নেতা কর্মীদের সঙ্গে ধরে ধরে আলোচনা করেছেন। গোটা নদিয়া জেলায় সংগঠনের নেতা ও প্রার্থীদের সঙ্গে রণকৌশল নিয়ে আলোচনা করেছেন। তাছাড়া বরাবরে কৌশল মোতাবেক জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা শাসকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎও সেরে রেখেছেন। এ বার পথে নামার অপেক্ষা।

Previous articleবিবাদ ভুলে ঠাকুর বাড়ির নাট মন্দিরে পুজো দিলেন বিশ্বজিৎ – শান্তনু
Next articleপ্রথম দফা ভোটের পরেই বঙ্গে স্বস্তি দিতে আসছে ঝড়বৃষ্টি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here