দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃকরোনা সংক্রমণের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন ও উপনির্বাচনের জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করল নির্বাচন কমিশন। জানানো হয়েছে, করোনা আক্রান্তরা ব্যালট পেপারে ভোট দিতে পারবেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারে প্রার্থী-সহ পাঁচজনের বেশি যাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া প্রার্থী থেকে শুরু করে ভোটকর্মী ও ভোটারদের মাস্ক, গ্লাভস পরা, সামাজিক দূরত্ব মানার নির্দেশিকা জারি হয়েছে। মনোনয়ন থেকে স্ক্রুটিনি, সব প্রক্রিয়া অনলাইনে হবে বলেও জানিয়েছে কমিশন।

শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের তরফে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। বৈঠকের পরে এই নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সব রাজ্যের দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করেই এই নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এই নির্দেশিকার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হল ব্যালট পেপারের ব্যবহার।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, “পোস্টাল ব্যালটের সুবিধা ব্যবহার করার পরিধি আরও বাড়ানো হল। এবার থেকে যাঁরা শারীরিকভাবে অক্ষম, যাঁদের বয়স ৮০ বছরের বেশি, যাঁরা জরুরি পরিষেবায় যুক্ত এবং যাঁরা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন।”

কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, নির্বাচনের আগে বাড়ি বাড়ি প্রচারের ক্ষেত্রে বড় মিছিল করা যাবে না। প্রার্থী নিজের সঙ্গে আরও চারজনকে নিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচারে যেতে পারবেন। তবে পাবলিক মিটিং কিংবা রোড শো করতে পারবেন প্রার্থীরা। তবে তার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের জারি করা নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে তাঁদের।

১২ পাতার এই নির্দেশিকায় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এবার থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়া, মনোয়নের টাকা জমা দেওয়া থেকে শুরু করে স্ক্রুটিনি, সবই অনলাইনে হবে। তাছাড়া নির্বাচনের কাজে যুক্ত প্রত্যেককে, অর্থাৎ প্রার্থী, তাঁর সমর্থক, ভোটের কাজে যুক্ত সরকারি কর্মী, ভোটার প্রত্যেককে মাস্ক ও গ্লাভস পরতে হবে। 

নির্বাচনের আগে স্থানীয় প্রশাসনকে এই বিষয়ে নজর দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। এছাড়া ভোটকেন্দ্রে যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হয় ও স্যানিটাইজারের ব্যবহার করা হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রকে যেন ভালভাবে জীবাণুমুক্ত করা হয়, সেখানে ঢোকার আগে প্রত্যেকের যেন থার্মাল স্ক্রিনিং করে দেখা হয়, তার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।

নির্বাচন কমিশন আরও জানিয়েছে, প্রতিটি নির্বাচন কেন্দ্র, জেলা ও রাজ্যের জন্য আলাদা আলাদা নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হবে। তাঁরা নিজেদের এলাকার সব ব্যবস্থা ঠিকঠাক রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখবেন। যাঁরা ভোট করাতে যাবেন, তাঁদের অনলাইনে ট্রেনিং দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া রিটার্নিং অফিসারের অধীনে ভোটগ্রহণ, গণনা প্রভৃতির জন্য কর্মীদের রিজার্ভ পুল থাকবে। দরকার পড়লে তার ব্যবহার করা হবে।

এ বছর অক্টোবর-নভেম্বর নাগাদ বিহারে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর তার দিনক্ষণ ঠিক হবে। তার আগে কোভিড পরিস্থিতিতে নির্বাচন কী ভাবে করানো যায়, তা নিয়ে এই নির্দেশিকা জারি করল কমিশন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here