দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ প্রয়াত হলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।

বুধবার গভীর রাতে বেলভিউ হাসপাতালে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গত ২১ জুলাই থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সোমেনবাবু। কিডনি ও হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। দু’দিন আগেও তাঁর ডায়ালিসিস হয়।  বুধবার রাত দেড়টা নাগাদ হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে তিনি মারা যান। তাঁর স্ত্রী ও ছেলে আছেন। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ রাহুল গান্ধী।

ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় আইসিইউতে স্থানান্তর করতে হয় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে। জ্বর-সর্দি থাকায় করোনা পরীক্ষাও করা হয় তাঁর। যদিও সেই রিপোর্ট আসে নেগেটিভ। এরই মাঝে শনিবার জানা যায় যে, সোমেন মিত্রর অবস্থার অবনতি হয়েছে। কাজ করছে না তাঁর কিডনি। হৃদস্পন্দনের মাত্রাও কমে গিয়েছে। তা ছাড়াও একাধিক সমস্যা ছিল বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার। দীর্ঘদিন ধরেই হৃদযন্ত্রে সমস্যা ছিল সোমেনবাবুর। চিকিৎসা করাতেন দিল্লির এইমস হাসপাতালে। গত ২১ তারিখ আচমকাই অসুস্থ হন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। পারিবারিক চিকিৎসকের পরামর্শেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।

ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় আইসিইউতে স্থানান্তর করতে হয় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে। জ্বর-সর্দি থাকায় করোনা পরীক্ষাও করা হয় তাঁর। যদিও সেই রিপোর্ট আসে নেগেটিভ। এরই মাঝে শনিবার জানা যায় যে, সোমেন মিত্রর অবস্থার অবনতি হয়েছে। কাজ করছে না তাঁর কিডনি। হৃদস্পন্দনের মাত্রাও কমে গিয়েছে। তা ছাড়াও একাধিক সমস্যা ছিল বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার। দীর্ঘদিন ধরেই হৃদযন্ত্রে সমস্যা ছিল সোমেনবাবুর। চিকিৎসা করাতেন দিল্লির এইমস হাসপাতালে। গত ২১ তারিখ আচমকাই অসুস্থ হন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। পারিবারিক চিকিৎসকের পরামর্শেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।

সোমেন মিত্র বা ছোড়দা বলে রাজনীতির আঙিনায় পরিচিত ছিলেন সোমেন্দ্রনাথ মিত্র। তাঁকে গনিখান চৌধুরীর শিষ্য বলা হত। সোমেন মিত্রর জন্ম ১৯৪১ সালের ৩১ ডিসেম্বর। অধুনা বাংলাদেশের যশোহর জেলায়। ১৯৭২ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত শিয়ালদহ কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন। কংগ্রেসের অতি দুর্দিনেও তিনি দল ছাড়েননি। তবে ২০০৮ সালে কংগ্রেস ছেড়ে দিয়ে তিনি নিজস্ব দল তৈরি করেন। নাম দেন প্রগতিশীল ইন্দিরা কংগ্রেস।

২০০৯ সালে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের ঘটনার পরে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। সেই বছরই লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে সিপিএমের শমীক লাহিড়ীকে হারিয়ে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন সোমেনবাবু। ২০১৪ সালে তিনি অবশ্য সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন। ফিরে যান তাঁর পুরনো দল জাতীয় কংগ্রেসে। ২০১৮ সালে দ্বিতীয় বারের জন্য তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হন। আমৃত্যু সেই পদেই ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া বাংলার রাজনীতিতে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here