দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ গ্রেফতারের পর এক সপ্তাহও কাটল না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের অন্যতম খুনি আবদুল মাজেদের ফাঁসির সাজা কার্যকর করল বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী শনিবার ১২টা এক মিনিটে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি দেওয়া হয় মাজেদকে।
গত সোমবার মধ্যরাতে ঢাকার গাবতলী এলাকা থেকে মাজেদকে গ্রেফতার করেছিল ঢাকা মহানগর পুলিশ। পরের দিন তাকে আদালতে তোলা হয়। মুজিবের খুনিদের মধ্যে যারা অধরা তাদের বিরুদ্ধে আদালতের রায়, যখনই ধরা পড়ুক মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। মাজেদকে আদালতে তোলা হলে ঢাকা আদালতের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফাঁসির সাজা বহাল রাখেন। এরপর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানায় মাজেদ। কিন্তু রাষ্ট্রপতি ভবন সেই আর্জি খারিজ করে দেয়। তারপরই ফাঁসির দিনক্ষণ চূড়ান্ত করে আদালত।

আদালতে মাজেদ জানিয়েছিল, সে বঙ্গবন্ধুকে খুন করার পর প্রথমে লিবিয়ায় পালিয়ে গেছিল। তারপর সেখান থেকে কলকাতায় এসে ২২ বছর কাটিয়েছে।

সোমবার দুপুরের পর থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের চারপাশ ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়। এরপর কারাগার কর্তৃপক্ষ মধ্যরাতে মাজেদের মৃত্যু নিশ্চিত করে।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগস্ট শেখ মুজিবর রহমানকে বাড়ির ভিতরে ঢুকে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়। তাঁর পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলা হয়। বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের গবেষক কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক ডঃ কুন্তল মুখোপাধ্যায় তাঁর ‘বাংলার ধনুক’ বইতে লিখেছিলেন, গান্ধীজিকে হত্যার পর মুজিবের হত্যাই একুশ শতক পর্যন্ত ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে নৃশংস রাজনৈতিক হত্যা।
বঙ্গবন্ধুর খুনে অভিযুক্ত সৈয়দ ফারুক রহমান, বজলুল হুদা, একেএম মহিউদ্দিন আহমেদ, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান ও মুহিউদ্দিন আহমেদকে ফাঁসি দেওয়া হয় ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ খুনি এখনও পলাতক। এদের মধ্যে এসএইচএমবি নূর চৌধুরী কানাডায় ও এএম রাশেদ চৌধুরী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে বলে বাংলাদেশ সরকারের কাছে খবর।

অন্য তিনজন খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম ও মোসলেম উদ্দিন কোথায় আছে সে ব্যাপারে কোনও তথ্য নেই ঢাকার কাছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here