দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ করোনা আক্রান্ত হয়ে কলকাতা পুলিশের আরও এক আধিকারিকের মৃত্যু হল। মৃত্যু হয়েছে অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর সিদ্ধান্ত শেখর দে’র। কলকাতা পুলিশের তরফে নিজেদের টুইটার হ্যান্ডেলে ওই আধিকারিকের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে।

পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, সশস্ত্র পুলিশের পঞ্চম ব্যাটেলিয়নে কর্মরত ছিলেন সিদ্ধান্ত শেখর দে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে আক্রান্ত হন তিনি। বেশ কিছুদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ওই অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া কলকাতার পুলিশ মহলে।

এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় আরও এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টরের। তাঁর নাম গৌতম মাহাতো। কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চে কর্মরত ছিলেন তিনি। কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, করোনার বিরুদ্ধে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে গৌতমবাবুর। তাঁর পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়।

পুলিশ দিবসের দিন পুলিশকর্মীদের লড়াইয়ের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনও পর্যন্ত করোনায় যেসব আধিকারিকের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের পরিবারের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন তিনি। পুলিশের কাজে খুশি হয়ে তাঁদের বেতন ও ছুটির ঘোষণাও করেন মুখ্যমন্ত্রী।

গত ২১ অগস্ট করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় কলকাতা পুলিশের এসিপি উদয় শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। গত ৬ জুন করোনায় মৃত্যু হয় কলকাতা পুলিসের সাউথ ডিভিশনের কনস্টেবল সেবাস্তিয়ান খাকার। এরপর ১৩ জুন মারা যান শিয়ালদহ ট্রাফিক গার্ডের কনস্টেবল দিলীপ সর্দার। ১২ জুলাই করোনায় মৃত্যু হয় কলকাতা পুলিশের ইস্ট ট্রাফিক গার্ডের সিভিক ভলান্টিয়ার সুব্রত দাসের। এরপর ২৪ জুলাই মারা যান হেস্টিংস থানার কনস্টেবল কৃষ্ণকান্ত বর্মন। 

ওই একই দিনে করোনায় মৃত্যু হয় কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের ইকুইপমেন্ট সেলের অফিসার ইনচার্জ অভিজ্ঞান মুখার্জির। গত ২৯ জুলাই করোনায় মৃত্যু হয় চারু মার্কেট থানার কনস্টেবল দেবেন্দ্র নাথ তির্কির। এরপর ৩১ জুলাই করোনায় মৃত্যু হয় চিৎপুর থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর তপন চন্দ্র কুমারের। তারপর ২ অগস্ট করোনায় মৃত্যু হয় জোড়াবাগান ট্রাফিক গার্ডের কনস্টেবল দীপঙ্কর সরকারের।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের ২ হাজারের বেশি কর্মী সংক্রামিত হয়েছেন। সুরক্ষার স্বার্থে লালবাজারের ভিতরে তৈরি হয়েছে পৃথক আইসোলেশন সেল। কিন্তু তাতেও কোনও ভাবেই এড়ানো যাচ্ছে না করোনার সংক্রমণ। একদম সামনের সারিতে থেকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে যোদ্ধাদের এমন মর্মান্তিক পরিণতিতে চিন্তায় রয়েছে প্রশাসনও।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here