প্রপার্টি কার্ড চালু করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী ,সঙ্গে স্বামীত্ব যোজনা শুরু হবে দ্রুত

0
2440

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দেশের প্রতিটি গ্রামকে স্বনির্ভর করতে স্বামীত্ব যোজনা প্রকল্পের আওতায় প্রপার্টি কার্ড চালু করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য, এর ফলে গ্রামবাসীরা তাদের জমি ও সম্পত্তির মালিকানা থেকে বঞ্চিত হবে না। তাঁর আরও বক্তব্য, গ্রামে গ্রামে সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে বিবাদ ঘুচবে।

পঞ্চায়েতরাজ দিবসে প্রতিটি গ্রামকে স্বনির্ভর হওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির কাজের দক্ষতা বাড়াতে ও প্রয়োজনীয় তথ্য জোগাতে ‘ই-গ্রামস্বরাজ অ্যাপ’ এবং গ্রামীণ ভারতের জমি-সম্পত্তির মালিকানা সংক্রান্ত ‘স্বামীত্ব যোজনা’-র উদ্বোধন করেন। সরকারি সূত্রে খবর, প্রায় ১ লক্ষ ৩২ হাজার মানুষকে এই প্রপার্টি কার্ডের সুবিধা দেওয়া হবে।

দেশের ৬টি রাজ্যের সাড়ে সাতশোরও বেশি গ্রামে এই প্রপার্টি কার্ড বিলি করা হবে। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশের ৩৪৬টি গ্রাম, হরিয়ানার ২২১টি গ্রাম, মহারাষ্ট্রের ১০০টি, মধ্যপ্রদেশের ৪৪টি, উত্তরাখণ্ডের ৫০টি ও কর্নাটকের ২টি গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে এই কার্ড পৌঁছে দেওয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, লক্ষাধিক গ্রামবাসী এই প্রপার্টি কার্ডের সুবিধা নিতে পারবেন। মোবাইল ফোনে এসএমএস লিঙ্ক পাঠানো হবে। সেখান থেকেই এই কার্ড ডাউনলোড করা যাবে। প্রপার্টি কার্ড প্রত্যন্ত গ্রামগুলির রূপরেখাই বদলে দেবে।

স্বামীত্ব যোজনা :

স্বামীত্ব যোজনার আওতায় আসবে ৬ লক্ষ ৬২ হাজার গ্রাম। ডিজিটাল ভারতে প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকাকেও পুরোদস্তুর ডিজিটাল সুযোগসুবিধার আওতায় আনতেই এই স্বামীত্ব যোজনা প্রকল্পের সূচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। গ্রামোন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা নিতে চলেছে এই যোজনা। এই উদ্যোগে গ্রামের জমি ও সম্পত্তি সংক্রান্ত মালিকানা নিয়ে ঝামেলা ঝঞ্ঝাট থাকবে না।

ড্রোনের মাধ্যমে গ্রামবাসীদের জমি ম্যাপিং করা হবে। জিপিএস ম্যাপিংয়ে সম্পত্তির খতিয়ান তৈরি হবে। এর ভিত্তিতেই কোন পরিবারের সম্পত্তি কতটুকু সেটা নির্ধারণ করা হবে। জমি ও সম্পত্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য নথিবদ্ধ থাকবে ডিজিটাল অ্যাপে। কাজেই মালিকানার ভাগ নিয়ে কোনও বিবাদ হবে না। গ্রামবাসীরা তাদের প্রাপ্য সম্পত্তিই ভোগ করতে পারবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আত্মনির্ভর ভারত গড়ার লক্ষ্যে এটাই প্রথম ধাপ। জেলা থেকে গ্রাম, আত্মনির্ভর হবে প্রতিটি পরিবার। শহর শুধু নয় গ্রামাঞ্চলকেও ডিজিটাল প্রযুক্তির আওতায় আনা যাবে।

স্বামীত্ব যোজনার সঙ্গেই আরও দুটি ডিজিটাল অ্যাপ চালু করার লক্ষ্যও রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। ই-গ্রাম স্বরাজ অ্যাপ ও পঞ্চায়েতী রাজ অ্যাপ

ই-গ্রাম স্বরাজ হল এমন একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম যেখানে গ্রামীণ পঞ্চায়েতগুলির যাবতীয় তথ্য নথিবদ্ধ থাকবে। পঞ্চায়েতের কাজ কী ভাবে হবে সেই রূপরেখা বাতলে দেবে এই অ্যাপ। কোন কাজে কী অর্থ বরাদ্দ হবে, কোন কাজ কতটা এগোলো, তার খুঁটিনাটি পাওয়া যাবে এই অ্যাপে। ভবিষ্যতে একটাই অ্যাপ থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজের সমস্ত তথ্য পাওয়া যাবে।

গ্রামবাসীরাও জানতে পারবেন তাদের পঞ্চায়েত কী কী কাজ করছে গ্রামের উন্নতির জন্য। এতে পঞ্চায়েতের কাজের স্বচ্ছতাও বজায় থাকবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার ভিত যদি মজবুত হয় এবং কাজের স্বচ্ছতা বজায় থাকে, তাহলে গ্রামীণ এলাকায় সকলেই উন্নয়নের সুবিধা পাবে। স্বাবলম্বী পঞ্চায়েত গড়ে উঠবে। গ্রামীণ অর্থনীতিরও বিকাশ হবে।

Previous articleশিখ যুবকের পাগড়ি খুলেছে বাংলার পুলিশ, ক্ষুব্ধ হরভজনের টুইট মমতাকে
Next articleভারতে অক্সফোর্ডের টিকার ট্রায়াল সাফল্যের পথে,জানাল সেরাম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here