দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কে হবেন পঞ্জাবের নতুন মুখ্যমন্ত্রী, এই নিয়ে চলছে তোলপাড়। সূত্রের খবর, রবিবারই নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হতে পারে। জানা গিয়েছে, শনিবার চণ্ডীগড়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করে কংগ্রেস। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হরিশ রাওয়াত, অজয় মাকেন ও হরিশ চৌধুরীর মতো দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা। স্বাভাবিকভাবেই পঞ্জাবের সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে চলছে আলোড়ন।

পাঞ্জাবের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে আগামী এক ঘন্টার মধ্যেই ঘোষণা হতে পারে নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি ঘোষণা হতে পারে উপ মুখ্যমন্ত্রীর নামও। সূত্রের খবর আজই দিল্লিতে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করছেন অম্বিকা সোনি। তবে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতে রাজি হননি অম্বিকা সোনি।

উল্লেখ্য, শনিবার রাহুল গান্ধীর বাড়িতে বৈঠক করেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। এদিন একটি ভিডিয়োতে রাহুল গান্ধীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা গিয়েছিল কংগ্রেসের জেনারেল সেক্রেটারি কে সি বেণুগোপাল এবং অম্বিকা সোনিকে। এদিকে পঞ্জাবে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য কংগ্রেস নেত্রী অম্বিকা সোনিকে প্রস্তাব দিয়েছিল দল, সূত্রের খবর এমনটাই। যদিও তিনি সেই প্রস্তাব খারিজ করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

এদিকে আজই চন্ডিগড়ে দলের বিধায়কদের কাছে লিখিতভাবে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম জানতে চেয়েছে দল। পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির কার্যকরী সভাপতি প্রবীণ গোয়েল জানিয়েছেন, আগামী এক ঘন্টার মধ্যেই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম জানা যাবে।

শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী আজ সকাল  ১১ টায় কংগ্রেস বিধায়কদের যে বৈঠকের আহ্বান করা হয় তা শেষ মুহূর্তে স্থগিত হয়ে যায়। তথ্য অনুযায়ী কংগ্রেস হাইকমান্ড সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করবে।

সূত্রের খবর নভজ্যোৎ সিং সিধু মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য কংগ্রেসের হাইকমান্ডের কাছে ইতিমধ্যেই দাবি জানিয়েছেন। এছাড়াও হাওয়ায় ভাসছে সুখজিন্দর রনধওয়া  এবং সুনীল জাখড়ের নাম।

সকাল থেকে জল্পনা ছিল অম্বিকা সোনি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতে পারেন। অম্বিকা সোনির মত, পাঞ্জাব শিখ সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য তাই সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী একজন শিখ হওয়া জরুরি। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, কংগ্রেসের পাঞ্জাব ইউনিটের তেমন কোনো বিরোধ নেই। খুব শিগগিরই সব ঠিক হয়ে যাবে।

সুনীল জাখড়ের নাম নিয়ে আলোচনা চলছে পাঞ্জাবের আনাচেকানাচে। যদিও এ দিন দুপুর পর্যন্ত জাখড়ের সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেননি। সেক্ষেত্রে আরও একবার শিখ মুখ্যমন্ত্রীর তত্ত্ব সামনে আসছে।

প্রসঙ্গত, শনিবার পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। তাঁর সঙ্গে ইস্তফা দেন মন্ত্রিসভার সদস্যরাও। এদিন বিকেল ৪টের পর চণ্ডীগড়ে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here