দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রাত ১২টায় লোকসভায় নাটকীয়ভাবে পাশ করিয়ে নেওয়া হল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। আর তারপর সকাল থেকেই ১৬টি বামপন্থী ছাত্র–সহ অন্যান্য সংগঠন বন্‌ধ সফল করতে রাস্তায় নেমেছে। মঙ্গলবার গোটা উত্তর–পূর্বাঞ্চলে পালিত হচ্ছে ১২ ঘন্টার বন্‌ধ। তার মধ্যে নর্থ ইস্ট স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন (‌এনইএসও)‌ এই ইস্যুতে ১১ ঘন্টা বন্‌ধের ডাক দিয়েছে।

নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে উত্তর–পূর্বের রাজ্যগুলি। অসম–সহ বিভিন্ন এলাকায় বন্‌ধের ডাক দিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। রাস্তায় নেমে চলছে স্লোগান–মিছিল। বিক্ষোভে সামিল হয়েছে ছাত্রছাত্রীরা। মঙ্গলবার ১২ ঘণ্টার বন্‌ধের ডাক দেওয়া হয়েছে। তাদের সমর্থন করেছে অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন।

এদিন সকাল থেকেই তার প্রভাব পড়েছে অসমের বেশ কয়েকটি এলাকায়। ত্রিপুরা, মণিপুর এবং অরুণাচলেও চলছে বিক্ষোভ। মিছিল বেরোয় দুই ছাত্র সংগঠনের। মিছিলে হাঁটেন বহু মানুষও।

কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি এই বন্‌ধে সামিল হয়েছে। গুয়াহাটির বেশ কয়েকটি জায়গায় বন্ধ রয়েছে দোকানপাট। বিক্ষোভ দেখা যায় ডিব্রুগড়েও। এদিন সকালে ওই এলাকায় বিরোধীরা টায়ার জ্বেলে প্রতিবাদ জানায়। গুয়াহাটির কটন বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষাসূচি পরিবর্তন করেছে। কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও যাবতীয় সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাব বিরোধিতায় নেমেছেন।

অসমে বন্‌ধের ডাক দিয়েছে অল কোচ রাজবংশী স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, অল অসম চুটিয়া স্টুডেন্টস ইউনিয়ন এবং অল মোরান স্টুডেন্টস ইউনিয়ন। মঙ্গলবার তার প্রভাব পড়েছে সর্বত্র।
অসমিয়া ছাত্র–যুবদের পাশাপাশি চলচিত্র ও সংস্কৃতি জগতের বিশিষ্টজনেরাও ক্যাবের সমালোচনায় পথে নেমেছেন। এসএফআই, ডিওয়াইএফআই, এআইডিডব্লুএ, এআইএসএফ এবং আইপিটিএ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে রাস্তায় নেমেছে। তাদের দাবি অবিলম্বে এই বিতর্কিত বিল বাতিল করতে হবে।

এই বন্‌ধকে সমর্থন করেছে জমিয়েত উলেমা হিন্দ। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বিভিন্ন জায়গায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জারি করা হয়েছে ক্যাব–বিরোধী আন্দোলনের ওপর নিষেধাজ্ঞা। আর তা উপেক্ষা করেই আন্দোলন চলছে।

যদিও এখনও পর্যন্ত এই বনধ উপলক্ষ্যে কোনও জায়গা থেকে অশান্তি বা সংঘর্ষের খবর আসেনি।

মঙ্গলবার মণিপুরের ইম্ফলে আইলিগের ম্যাচে নেরোকা এফসির মুখোমুখি হচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। এই পরিস্থিতিতে ম্যাচ হবে কিনা তা নিয়ে একটা সংশয় দেখা দিয়েছিল। তবে জানা গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল দল মাঠে পৌঁছে গিয়েছে। যাতে ভালভাবে খেলা করানো যায়, তার জন্য সবরকমের ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here