দেশের সময়,বনগাঁ: অভাবের সংসারে নিজে কাজ করে খেয়ে পড়ে বাঁচতে চেয়েছিল মেয়েটি। কিন্তু ভারতে এসে এমন বিপদের মধ্যে পরতে হবে তা ভাবতেও পারে নি।
কাজের সন্ধানে চোরা পথে ভারতে এসে দালালচক্রের হাত ধরে দিল্লির নিষিদ্ধপল্লীতে বিক্রি হয়ে গিয়েছিল ওই বাংলাদেশি নাবালিকা।

বছরখানেক পর প্রশাসন এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাত ধরে সোমবার পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে নিজের দেশে ফিরতে পারলো ওই নাবালিকা। নিজের দেশে ফিরতে পেরে বেজায় খুশি নাবালিকা। শক্তি বাহিনী নামে দিল্লির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এর আগেও বেশ কয়েকজন এমন পাচার হওয়া বাংলাদেশি নাবালিকাকে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করেছে।

এই সংস্থার পশ্চিমবঙ্গের এক কর্মকর্তা অজিত রায় জানান, বছর খানেক আগে বাংলাদেশের সাতক্ষিরা জেলার শ্যামনগর থানার চাঁদখালি গ্রামের একটি দরিদ্র পরিবারের ১৬ বছরের এক নাবালিকা কাজের সন্ধানে দালালের হাত ধরে চোরা পথে ভারতে প্রবেশ করে। এরপর নিজের অজান্তেই পাচারকারীদের হাত ধরে দিল্লিতে পৌঁছানোর পর তাকে সেখানকার একটি নিষিদ্ধপল্লীতে বিক্রি করে দেওয়া হয়।

সম্প্রতি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা শক্তি বাহিনী এই নাবালিকার সন্ধান পায়। তখন তারা প্রশাসনের দারস্থ হয়। দিল্লি পুলিশের মাধ্যমে নাবালিকাকে উদ্ধার করে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির হাতে তুলে দেয়। উদ্ধারের পর জানা যায় ওই নাবালিকা অন্ত:‌সত্ত্বা। এরপর তার চিকিৎসা করিয়ে দিল্লি ওমেন কমিশন বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশে নাবালিকার বাড়ির ঠিকানায় খোঁজ নেয়। তারপর সরকারি পদ্ধতি মেনে তাকে দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।

সেই মতোই ওই নাবালিকাকে নিয়ে এদিন দিল্লি থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছায় শক্তি বাহিনী এবং দিল্লি পুলিশের এক প্রতিনিধি দল। তাঁদের সঙ্গে কলকাতার প্রতিনিধিরা নাবালিকাকে নিয়ে এদিন দুপুরে পেট্রাপোল সীমান্তে এসে পৌঁছান। এরপর কাগজপত্রের নিয়ম কাজ সেরে ওই নাবালিকাকে বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনী এবং বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here