দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ ইলিশের সঙ্কট। তাতে কি? স্বাদের মাছ তো আরও আছে। খুঁজে নিলেই হল। ঝোলে-ঝালে বাঙালির রসনা তৃপ্তির জন্য সেজে উঠেছে দিঘার তট। সেখানেই মিলছে হরেক কিসিমের মাছ। ইলিশ যে সেখানে পুরোপুরি ব্রাত্য এমনটা ভাবা ভুল। তবে ইলিশের দুঃখ ভোলানোরও বন্দোবস্ত রয়েছে পুরোদস্তুর।

দিঘার ফিশারম্যান এণ্ড ফিস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন প্রতিবছর শীতেই সি ফুড ফেস্টিভ্যাল করে দিঘায়। এ বার ইলিশের আকাল তাঁদের ভাবিয়েছে। তাই বিকল্পের খোঁজ দিতে কোমর বেঁধে নেমেছেন তাঁরা। সংগঠনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস বলেন,ইলিশ এ বার একেবারেই মেলেনি। তাই বাঙালিদের হাহাকার রয়েছে। আবার এটাও ঠিক ইলিশের মতোই স্বাদের আরও কত যে মাছ আছে, ভোজন রসিক বাঙালি তার নামই জানে না। এই ফেস্টিভ্যালে আমরা চল্লিশ রকম অচেনা সামদ্রিক মাছের বাহারি পদ রান্না করছি। রসিক মানুষজন যা খেলে সত্যিই খুশি হবেন। আর সেখানেই আমাদের মেলার সার্থকতা।

সংগঠনের সভাপতি প্রণব কর বলেন,স্বাদের বহু মাছই আছে যা বাঙালি বাড়ির রান্নাঘর পর্যন্ত পৌঁছয় না। এখান থেকে চলে যায় বড় বড় হোটেলে। খুব দামি এমন মাছও খুব অল্প খরচে আমরা এখানে সাজিয়ে দিচ্ছি। যা খেলে ইলিশের শোক অনেকাংশেই ভোলা সম্ভব।


বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে এই ফেস্টিভ্যাল। চলবে টানা চারদিন। ম্যাকারেল,পটল, টুনা প্রভৃতি লোভনীয় সামুদ্রিক মাছের দেদার পদ মিলছে মেলায়। ইলিশ,পমফ্রেটও রয়েছে প্রথম সারিতে। ইলিশ ভাপা, ইলিশের পাতুরি, সরষে ইলিশ, ভেটকির কাটলেট, প্রণ চপ, কাঁকড়ার ঝাল ফ্রাই, কইভোলের কিমা ফ্রাই- আয়োজনে কমতি নেই। দামেও বেশ সস্তা।


এতো গেল খাওয়ার কথা। দেখেও সুখ হবে এমন ১৮০প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের প্রদর্শনীও

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here