দেশের সময় ওয়েব ডেস্ক: রবিবার রাতে ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করেছিলেন ফিরহাদ। আবেদন জানিয়েছিলেন ভোট দিতে আসার। এ দিন ভোট দিতে এসেছিলেন শোভোন চট্টোপাধ্যায়, ভোট দিয়ে বেড়নোর সময় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক পুরানো পরিচিত বন্ধুকে হেসে বলে যান জয় নিশ্চিত৷

ফিরহাদের জয় প্রত্যাশিত হলেও রাজনৈতিক জল্পনা উস্কে দিয়েছিল বিজেপি। হার নিশ্চিত জেনেও মীনাদেবী পুরোহিতকে মেয়র পদে প্রার্থী করেছিল গেরুয়া শিবির। কলকাতা কর্পোরেশনে বিজেপি-র প্রতিনিধি সংখ্যা পাঁচ। এ দিন ভোট শুরুর আগে মীনাদেবী বলেন, “যদি আমরা পাঁচের থেকে একটি ভোটও বেশি পাই, তাহলে সেটাই হবে আমাদের নৈতিক জয়।” রাজনৈতিক মহলের নজর ছিল সে দিকেই। কিন্তু গেরুয়া শিবিরের সেই আশায় জল পড়ে গেল। পাঁচটিই ভোট পেলেন মীনাদেবী। হল না কোনও ক্রস ভোটিং। বাম এবং কংগ্রেস কাউন্সিলররা ওয়াক আউট করায় লড়াই ছিল ১২১ বনাম পাঁচের।

শোভন চট্টোপাধ্যায় মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার দিনই আলিপুরে দলীয় কাউন্সিলরদের নিয়ে সভা ডেকেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভা থেকেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল কলকাতার পরবর্তী মেয়র পদে প্রার্থী হচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম এবং ডেপুটি মেয়র পদে প্রার্থী হচ্ছেন অতীন ঘোষ। পুরসভায় তৃণমূলের ব্যাপক গরিষ্ঠতা থাকায় মেয়র পদের নির্বাচন তাই ছিল খানিকটা নিয়ম রক্ষার। এ দিন হলও তাই। কলকাতার নতুন মেয়র হলেন ফিরহাদ হাকিম৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here