দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ

মনে পড়ে লোকসভা ভোটের আগের কথা? ঘাটালের প্রার্থী দেবের সমর্থনে মিছিলে যাওয়ার পথে চন্দ্রকোনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ করে একদল যুবক জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়েছিল। কনভয় দাঁড় করিয়ে গাড়ি থেকে নেমে পড়েছিলেন মমতা। বলেছিলেন, “আয় না আয়, পালাচ্ছিস কেন?”

এবার সেই ঘাটালেরই তৃণমূল বিধায়ক শঙ্কর দলুইয়ের গলাতে শোনা গেল জয় শ্রীরাম স্লোগান। তাও আবার রাস্তায় দাঁড়ি। যা নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের রাজনৈতিক মহলে তীব্র কৌতূহল তৈরি হয়েছে।

ঘাটালের বিধায়ক অবশ্য রাখঢাক না করেই বললেন, “আমি গর্বিত হিন্দু। জয় শ্রীরাম বলতে আমার কোনও বাধা নেই।” সেইসঙ্গে ব্যাখ্যা দিয়ে শঙ্করবাবু বলেন, “জয় শ্রীরাম বিজেপির স্লোগান নয়। এটা সমগ্র হিন্দুদের স্লোগান।”

গতকাল, রাখি পূর্ণিমার বিকেলে ঘাটালের রাস্তায় একদল যুবকের সঙ্গে শঙ্করবাবুকে ওই স্লোগান দিতে দেখা যায়। তাঁরা আবার বিজেপি সমর্থক। সেই মুহূর্তে তাঁদের হাতে বিজেপির পতাকাও ছিল। শঙ্করবাবু দ্য ওয়াল-কে বলেন, “আমি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। দেখি একদল বিজেপির যুবক দলের পতাকা নিয়ে রাখি বাঁধছে আর জয় শ্রীরাম স্লোগান দিচ্ছে। আমায় দেখে আরও বেশি করে স্লোগান দিচ্ছিল তারা। তখন আমি দাঁড়িয়ে পড়ি। জিজ্ঞেস করি, রাখির দিনে জয় শ্রীরাম কেন? ওরা তত ওই স্লোগান দিতে থাকে। তখন আমিও জয় শ্রীরাম বলি। বুঝিয়ে দিই, এটা বিজেপির স্লোগান নয়!”

সে শঙ্করবাবু যাই ব্যাখ্যা দিন, ঘাটালজুড়ে এখন একটাই গুঞ্জন, বিধায়ক কি তাহলে বিজেপির পথে?

শঙ্করবাবু অবশ্য সেসব জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, “দিদিই আমার সব। দিদিই আমায় দু’বার বিধায়ক করেছেন। আমি কোথাও যাব না। এসব যারা বলছে তারা কুৎসা রটাতেই এসব করছে। সবটাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”

গত কাল, সোমবার ঘাটালের কৃষি সমবায় ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে শঙ্কর দলুইকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তারপরই তাঁর গলায় জয় শ্রীরাম স্লোগান শুনে দুইয়ে দুইয়ে চার করে নেন অনেকেই।

জেলার এক বিজেপি নেতা বলেন, “আমরা তো কবেই বলেছিলাম, জয় শ্রীরাম একদিন সবাইকে বলতে হবে। শঙ্করবাবু এই স্লোগান শুনে গলা মিলিয়েছেন দেখে ভাল লাগছে। আগামী দিনে বাকিরাও এভাবেই জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেবেন।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here