দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ কেডি সিংকে আটক করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সূত্রের মতে, গত কয়েক দিনে কয়েক দফায় ইডি দফতরে ডেকে জেরা করা হয়েছে তাঁকে। আজ সকালেও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। তার পরই তাঁকে আটক করে ইডি। বুধবারই তাঁকে আদালতে পেশ করা হতে পারে।
অতীতে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা থেকে রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন কুঁওরদীপ সিং। পরে বাংলায় ক্ষমতা পরিবর্তন হলে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। বাংলায় চিটফান্ডের কারবার, চা বাগান ইত্যাদি ব্যবসা ফেঁদে বসেন তিনি।ইডি সূত্রের মতে, চিটফান্ড ব্যবসার মাধ্যমে কেডি যেমন হাজার হাজার মানুষকে ঠকিয়েছে, তেমনই বেআইনি আর্থিক লেনদেনের ঘটনাতেও তাঁর যোগ পাওয়া গিয়েছে।

অতীতে নারদ কাণ্ডের সময়েও কে়ডির নাম বারবার উঠেছিল। নারদ স্টিং অপারেশন চালিয়েছিলেন ম্যাথু স্যামুয়েল। ম্যাথু এক সময়ে দাবি করেছিলেন, স্টিং অপারেশনের জন্য তাঁকে টাকা দিয়েছিলেন কেডি সিং। তখন তহেলকার সাংবাদিক ছিলেন ম্যাথু। আর তহেলকার মালিকানা ছিল কেডির কাছে।
বস্তুত এই সব বিষয় ফাঁস হওয়ার পর থেকেই ঘটনাচক্রে তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যসভায় তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও পুনর্বার মনোনীত করেনি দল।
এদিক কেডি সিংকে আটক করার প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “আমি বিষয়টা পুরো জানি না। তবে এটা তো অনেক আগেই হওয়ার কথা ছিল। আমি এ ব্যাপারে দলকে বহু আগে সতর্ক করেছিলাম। তখন কেউ শুনতে চায়নি”।


কুণাল দাবি করেন, “কেডি সিংকে তৃণমূলে আনার পিছনে মূল ভূমিকা ছিল মুকুল রায়ের। তাঁর কথায়, সুদীপ্ত সেনও সেই কথা বলেছে”।
অন্যদিকে মুকুল ঘনিষ্ঠ এক নেতার কথায়, “এ সব বোকা বোকা কথায় নয় কি! মুকুল রায় তো তৃণমূলের মালিক ছিলেন না। ব্যক্তি কেন্দ্রিক দলে সুপ্রিম অথরিটি তাঁর ছিল না। তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেওয়া যায়, মুকুল রায়ের হাত ধরেই তৃণমূলে এসেছিলেন কে ডি সিং, কিন্তু সর্বোচ্চ নেতৃত্বের ছাড়পত্র ছাড়া তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করার ক্ষমতা কি মুকুলের ছিল? তা ছাড়া কেডি সিংয়ের কোম্পানির হেলিকপ্টার কারা ব্যবহার করেছিলেন, কত বার ব্যবহার করেছিলেন, কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন, সেই হিসাবও হবে নিশ্চয়ই”।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here