দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হয়েছিল ১৫ জুলাই। হাজারের বেশি জনকে টিকা দেওয়া হয়েছিল। প্রত্যেকের শরীরেই টিকার প্রভাব ইতিবাচক, এমনটাই জানালেন জাইদাস ক্যাডিলার চেয়ারম্যান পঙ্কজ আর পটেল। আজ থেকে দ্বিতীয় পর্যায় (ফেজ-টু) ট্রায়াল শুরু হচ্ছে দেশের কয়েকটি জায়গায়।

জাইদাসের কর্ণধার পঙ্কজ পটেল জানিয়েছেন, জাইদাস ক্যাডিলার তৈরি প্লাসমিড ডিএনএ (ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড)ভ্যাকসিন জ়াইকভ-ডি মানুষের শরীরে সম্পূর্ণ নিরাপদ। করোনা-প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি করবে। ১৫ জুলাই প্রথম ডোজে টিকা দেওয়ার পরে স্বেচ্ছাসেবকদের টানা সাতদিন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। টিকার প্রভাবে কারও শরীরে কোনও ‘অ্যাডভার্স সাইড এফেক্ট’ দেখা যায়নি। টিকার প্রভাবও কার্যকরী। দ্বিতীয় ডোজের পরেই অ্যান্টিবডি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।

দ্বিতীয় স্তরে আরও বেশি জনের শরীরে টিকা ইনজেক্ট করা হবে, জানিয়েছেন পঙ্কজ পটেল। এই স্তরে টিকার গুণাগুনের প্রমাণ মিলবে। করোনাভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে এমন অ্যান্টিবডি তৈরি শুরু হলেই বোঝা যাবে টিকা মানুষের শরীরে ভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকরী। জাইদাসের কর্ণধারের কথায়, মানুষের শরীরে টিকা দেওয়ার আগে বহুবার ল্যাবরেটরিতে সেফটি ট্রায়াল করা হয়। তার রিপোর্ট বেশ ভাল। 

দেখা গেছে, প্লাসমিড ডিএনএ ভ্যাকসিন পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারে। এই সেফটি ট্রায়ালের রিপোর্ট দেখেই মানুষের শরীরে টিকা দেওয়ার জন্য অর্থাৎ হিউম্যান ট্রায়ালের অনুমতি দেয়  ড্রাগ কন্ট্রোল, রিভিউ কমিটি অন জেনেটিক ম্যানিপুলেশন (আরজিজিএম) ও সেন্ট্রাল ড্রাগ ল্যাবরেটরি (সিডিএল)।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আহমেদাবাদের এই ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি জাইদাস ক্যাডিলা ঘোষণা করেছিল তারা করোনার টিকা তৈরি করছে।  জ়াইকভ-ডি হল প্লাসমিড ডিএনএ ভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট ডিজাইন করেছে সংস্থার ভ্যাকসিন টেকনোলজি সেন্টার (ভিটিসি)।২০১০ সালে সোয়াইন ফ্লুয়ের ভ্যাকসিন তৈরি করেছিল জাইদাস ক্যাডিলা। দেশের অন্যতম বড় এই ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি হাম, মাম্পস, রুবেলা সহ একাধিক ভ্যাকসিন এনেছে ভারতের বাজারে।

পঙ্কজ পটেল জানিয়েছেন, তাঁদের তৈরি জ়াইকভ-ডি ভ্যাকসিন ডিএনএ টেকনোলজিতে তৈরি হয়েছে। মূলত প্লাসমিড ডিএনএ ভ্যাকসিন। প্লাসমিড ডিএনএ হল ব্যাকটেরিয়ার এক্সট্রাক্রোমোজোমাল ডিএনএ। তাকেই বিশেষ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে করোনার টিকা তৈরির কাজে লাগানো হয়েছে। এই প্লাসমিড ডিএনএ-র সেলফ-রেপ্লিকেশন ক্ষমতা আছে। দেহকোষে ঢুকে বিভাজিত হয়ে ভাইরাল প্রোটিনের অনুরূপ প্রোটিন তৈরি করবে। যার কারণে শরীরে বি-কোষ ও টি-কোষ সক্রিয় হয়ে উঠে শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here