দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: জেএনইউ‌য়ের গবেষকের বিরুদ্ধে ‘‌দেশদ্রোহিতা’‌–এর অভিযোগ। মঙ্গলবার বিকেলে তাঁকে তাঁর বিহারের বাড়ি থেকে আটক করল পুলিশ। বিহার পুলিশ তাঁর খোঁজ পাচ্ছিল না। তাই মঙ্গলবার সকালে তাঁর ভাইকে আটক করেছিল। তারপরেই গ্রেপ্তার করল অভিযুক্তকে।

নতুন নাগরিক আইন বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে আসছেন জেএনইউ‌য়ের গবেষক সারজিল ইমাম। আইআইটি মুম্বই থেকে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার কাজ শুরু করেছেন। ভারতের বিভিন্ন অংশে সিএএ–এর বিরোধিতা করে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। উত্তরপ্রদেশ ও অসমের পুলিশ সারজিলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে।

অরুণাচল প্রদেশ ও মনিপুরের পুলিশও এফআইআর দায়ের করেছে ইমামের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তিনি অসমের বিক্ষোভে যে সিএএ বিরোধী ভাষণ দিয়েছিলেন তা উস্কানিমূলক ও রাষ্ট্রবিরোধী। এরপর আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়েও একই রাষ্ট্রবিরোধী ভাষণ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। বলা হয়, তিনি ভাষণের মধ্যে উত্তরপূর্ব রাজ্যগুলিকে ভারতের থেকে আলাদা করে দেওয়ার কথাও বলেছিলেন। তারপর থেকে চলতে থাকে তল্লাশি।

মুম্বই, পাটনা, দিল্লির মতো দেশের বড় শহরগুলিতে পুলিশ জোর তল্লাশি চালাতে থাকে সারজিলকে গ্রেপ্তার করার জন্য। সোমবার বিহারের জেহানাবাদ পুলিশের সুপারিন্টেনডেন্ট মনীশ কুমার জানালেন, কেন্দ্রীয় সংস্থার সাহায্য নিয়ে পুলিশ সারজিল ইমামের পৈতৃক বাড়িতে খোঁজ চালিয়েছিল। কিন্তু তাঁর খোঁজ মেলেনি। দুই আত্মীয় ও তাঁদের গাড়ির চালককে আটক করেছিল পুলিশ।

কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়েও দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও জানা গিয়েছে বিহার ও দেশের রাজধানীতে পুলিশের বহু দল সারজিলের খোঁজ চালিয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে তাঁর ভাই ছাড়াও আর এক ব্যক্তিকে আটক করে বিহারের জেহানাবাদ পুলিশ। কিন্তু বিকেল তিনটের মধ্যেই পুলিশ ইমামকে গ্রেপ্তার করে ফেলল। অন্যদিকে জেএনইউ‌য়ের কার্যাধ্যক্ষ ইমামকে ৩ ফেব্রুয়ারি সময় দিয়েছিলেন। তার মধ্যে ইমাম নিজে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন তাঁর ভাষণের ব্যাখ্যা দিলে বিষয়টিকে সুস্থভাবে বিচার করা হবে।‌‌‌

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here