দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রাজ্য নেতৃত্বের কড়া নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে হাবরা পৌর মন্ডলের প্রশাসক বোর্ডের সদস্য এবং দুই নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী জনপ্রতিনিধি তারক দাসের নেতৃত্বে যশোর রোডের ধারে তৃণমূল পার্টি অফিসের সামনেই লকডাউনের দিনভর চলল পুজোপাঠ, হোম যজ্ঞ। হাবরার বিধায়ক তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সুস্থতা কামনা করেই না কি আয়োজন করা হয়েছে এই যজ্ঞানুষ্ঠানের! তেমনটাই দাবি করলেন হাবরা ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মীরা।

রবিবার ৬ই সেপ্টেম্বর রাতে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে৷ বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। বর্তমানে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে৷ খাদ্যমন্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে ঠিক তার পরের দিনই হোম যজ্ঞের আয়োজন করে বসেছেন হাবরার তৃণমূল কর্মীরা। তাও লকডাউনকে থোড়াই কেয়ার করে একেবারে পার্টি অফিসের সামনে।

এই নিয়ে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য তারক দাস এর সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়বাবু এই অঞ্চলের অত্যন্ত জনপ্রিয় রাজনৈতিক কর্মী। তাঁর অসুস্থতার খবর শোনার পর থেকেই এই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। তাই মন্ত্রীর সুস্থতা কামনায় এই হোম যজ্ঞের আয়োজন। তাঁর মতে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আবেগের কাছে হার মেনেছে লকডাউন। সরকারি নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে লকডাউনের ভেতরে সারাদিন ধরেই চলল পুজোপাঠ।

সাপ্তাহিক লকডাউনের দিনগুলোতে যেকোনও রকম জমায়েতের ক্ষেত্রেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের তরফে। সোমবার লকডাউন, একথা জানা থাকা সত্ত্বেও বেছে বেছে সেদিনই যাগযজ্ঞ করে জমায়েত কেন করা হল এই প্রশ্নের উত্তরে তারকবাবু জানান, করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনের কথা মাথায় রেখেই উপস্থিত সবাইকে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বিধায়ক তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সাধারণ মানুষের খুবই প্রিয়পাত্র ও কাছের মানুষ। সেই ভালোবাসার টানেই কালবিলম্ব না করে এই জমায়েত এবং মন্ত্রীর সুস্থতা কামনায় এই হোম যজ্ঞের আয়োজন।

সোমবার ৭ই সেপ্টেম্বর রাজ্যজোড়া লকডাউনের ঘোষণা অনেক আগে থেকেই ছিল৷ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যনেতৃত্বের কড়াকড়ির মধ্যেই একেবারে অন্য ছবি ধরা পড়ল তাদেরই দলের হাবরার পার্টিঅফিসে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here