দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ তার মন খারাপ। স্কুলব্যাগটি পাশে নিয়ে, দু’হাত জড়ো করে হাঁটু দুটো বুকের কাছে চেপে ধরে, গাল ফুলিয়ে বসে আছে সে। গোল-গোল চোখে ভয়, কষ্ট। চেনা হাসিটা নেই মুখে। তার পেছনে ভাঙচুরের আবছা ছায়া। সে প্রশ্ন করছে, “দিল্লি অ্যায়সা কিসিনে মেরা তোড়া।” সে আমাদের বহু-পরিচিত আমূল গার্ল। আমূলের নতুন কার্টুনে এবার এই রূপেই হাজির হয়েছে সে।

যে কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক ইস্যুতেই বিশেষ বুদ্ধিমত্তা ও রসবোধের পরিচয় দিয়ে থাকে আমূল ইন্ডিয়া। তৈরি করে নতুন নতুন কার্টুন। নিজেদের বিজ্ঞাপন তো বটেই, সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের প্রশংসাও সংগ্রহ করা হয়ে যায় তাদের। কয়েক দিন আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারতসফর উপলক্ষে একটি কার্টুন তৈরি করেছিল তারা। সেখানে আমূল গার্লকে দেখা গেছিল গুজরাতি স্টাইলে শাড়ি পরে, হাসিমুখে, বাটার লাগানো পাঁউরুটি এগিয়ে দিতে।

এখন তার মুখে হাসি নেই। সাত দিন ধরে সংঘর্ষে উত্তাল দিল্লি। একের পর এক মৃত্যুর খবর আসছে প্রতিদিন। আহত কয়েকশো মানুষ। অসংখ্য ঘরবাড়ি জ্বলে গেছে, ভেঙেচুরে শেষ করে দেওয়া হয়েছে দোকানপাট, স্কুল। একের পর এক মহল্লা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। রাজধানী শহরের সমস্ত আনন্দ যেন এই সাত দিনে আতঙ্কে পরিণত হয়েছে।

সারা দেশের মানুষ এই মুহূর্তে চিন্তিত। দিল্লিবাসীর দিন কাটছে উদ্বেগে, যন্ত্রণায়। তাঁদের কষ্টই যেন ভাগ করে নিয়েছে ছোট্ট আমূল গার্ল। প্রতিটা কার্টুনে যে নির্মল মজার ছোঁয়া থাকে, এখন আর তা নেই। ছোট্ট মেয়ের প্রিয় শহর তোলপাড় হয়ে গেছে, মন ভাল নেই তার। সেই ছবিই ধরা পড়েছে নতুন কার্টুনে।


কার্টুনটি শেয়ার করে আমুল কর্তৃপক্ষ শান্তি, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সম্প্রীতির জন্য আবেদন জানিয়েছে টুইট করে।এই কার্টুন প্রকাশিত হওয়ার পরেই তা নেটিজেনদের প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছে। টুইটের রিপ্লাইয়ে কেউ লিখেছেন, “মোদী এবং অমিত চাচাই তোমার দিল্লি শেষ করে দিল বেটা।” আবার কেউ লিখেছেন, “সবাই জানে এটা ‘জেহাদিদের’ কাজ।” কেউ আবার লিখেছেন, “আমূল গার্লকে এই প্রথম এরকম ভেঙে পড়া চেহারায় দেখলাম, খুব কষ্ট হচ্ছে।” আবার কারও রিপ্লাই, “আমারও মনের অবস্থা ঠিক আমূল গার্লের মতোই। জানি না এই অশান্তি কবে থামবে।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here