দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ অবশেষে কালীপুজো ও দীপাবলিতে শর্তসাপেক্ষে বাজি পোড়ানোর অনুমতি দিল পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। কালীপুজোর দিন শুধুমাত্র রাত আটটা থেকে দশটার মধ্যে পোড়ানো যাবে পরিবেশ বান্ধব আতসবাজি। শব্দবাজির সঙ্গে সঙ্গে অন্য সমস্ত রকমের বাজি এরাজ্যে নিষিদ্ধ। উৎসবের দিনগুলিতেই শুধুমাত্র বাজি বিক্রি করা যাবে বলেও জানানো হয়েছে। একমাত্র পরিবেশ বান্ধব বাজি পোড়ানোতেই ছাড়।

বাজি পোড়ানোর নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। তবে বেঁধে দেওয়া হয়েছে সময়। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্যদ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। যেখানে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কবে, কখন, কী কী বাজি পোড়ানো যাবে। 
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কালীপুজোর দিন মাত্র ২ ঘণ্টা, রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বাজি পোড়ানো যাবে।

তবে আতশবাজি হতে হবে পরিবেশবান্ধব। কালীপুজোর পরই ছট পুজো। এদিনও ২ ঘণ্টার জন্য আতশবাজি পোড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ছটপুজোয় সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত আতশবাজি পোড়ানো যাবে। বড়দিনের উৎসব এবং নতুন বছরের সূচনালগ্নে আতশবাজি পোড়ানোর ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সময় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২৪ ও ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৫ মিনিট থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বাজি পোড়ানো যাবে। 

গত বছর কোভিড আবহে বাজি পোড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবছর করোনার দাপট আগের তুলনায় কম আছে। তবু সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। সেই কথা মাথায় রেখে এবছরও বাজি পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার আর্জি পৌঁছেছে উচ আদালতের কাছে। সেই মামলার শুনানি আসন্ন। তার আজ্ঞে নোটিস দিয়ে রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জানিয়ে দিল নিয়ম মানতে হবে বাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রে। প্রকৃতির ক্ষতি করা যাবে না কোনও ভাবেই।

বায়ুদূষণ রুখতেই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে পর্ষদের তরফে। পরিবেশ দপ্তরের পক্ষ থেকে সবরকম শব্দবাজি পোড়ানো বা বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শব্দবাজিতে ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকার কারণেই বায়ু দূষণের পরিমাণ বাড়তে পারে। যার জেরে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়তে পারে। আশঙ্কা রয়েছে করোনা পজিটিভ রোগীদেরও। তাই সে সমস্ত বাজি বিক্রি বা কেনা চলবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here