দেশেরসময় ওয়েবডেস্কঃ মনে পড়ে খড়দহ বাজারে শুভেন্দু অধিকারীর জনসভা?
তার দুদিন আগে যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ডায়মন্ড হারবারের সভা থেকে শুভেন্দুর উদ্দেশে বলেছিলেন, “তোমার বাড়িতে তো জোড়া ফুল রয়েছে, তাঁদের সঙ্গে থাকতে তোমার লজ্জা করে না?”
খড়দহের সভা থেকে শুভেন্দু বলেন, “বাবু সোনা, বাসন্তী পুজো আসতে দাও, রামনবমী আসতে দাও, আমার বাড়ির লোকেরাও পদ্ম ফোটাবে। তুমি জেনে রাখো, আমি তোমার বাড়িতে ঢুকেও পদ্ম ফোটাব।”

বিবেকানন্দ জয়ন্তীর সন্ধ্যায় শুভেন্দুর সেই কথাটাই যেন অনেকের কানে বাজছে। কেন? বিবেক মেলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “মুখে দেশের-দশের কথা বলব। আর সুযোগ-সুবিধা দেব নিজের পরিবারকে। এটাই এখন রাজনীতি।’ এখানে না থেমে কার্তিক বলেন, “আগামীদিনে কী হবে, সেটা কেউ বলতে পারে না। কালকে কী করব? আমি নিজেও জানি না।’

এর বেশি আর কিছুই বলেননি কার্তিক। কিন্তু তৃণমূলের অনেকেই বলেন ভাইপোর সঙ্গে কাকার দূরত্ব আলোকবর্ষ সমান। তবে দিদির সঙ্গে ভাইয়ের সম্পর্ক রয়েছে। কার্তিক বাবু ভাইফোঁটা নেন দিদির কাছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে কি কার্তিকের মন অন্যত্র? এর জবাব মেলেনি। তবে এক বিজেপি নেতা রসিকতা করে বলেন, সিন্ধিয়া পরিবারে যদি কংগ্রেস-বিজেপি দ্বন্দ্ব থাকতে পারে তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবার সারা জীবন তৃণমূল থাকবে সেটা কোথায় ঠিক হল!”


কার্তিকবাবু বিবেক নামের একটি সংস্থা চালান। প্রতি বছর মেলা করেন। গতবার শুভেন্দু অধিকারীকেও ডেকেছিলেন। তবে এই মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে কালীঘাটে।
তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। সঞ্জয় গান্ধীর মৃত্যুর পর গান্ধী পরিবারের কংগ্রেস ঘরানা থেকে বেরিয়ে গিয়ে মেনেকা গান্ধী, বরুণ গান্ধীরা বিজেপি করছেন। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে শারদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ারও ডিগবাজি দিয়েছিলেন। উপ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথও নিয়ে নিয়েছিলেন। যদিও পরে ফের ফিরে আসেন। কিন্তু কালীঘাটে কী হয় সেটাই এখন দেখার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here