দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ গতকাল স্বাস্থ্যভবনের তরফে যে বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছিল তাতে জানা গিয়েছিল, নতুন করে কেউ আক্রান্ত হননি করোনাভাইরাস। ৬৬টি রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে। কিন্তু তখনও দুটি রিপোর্ট আসা বাকি ছিল। আর সেই দু’জনের মধ্যেই একজনের রিপোর্টে কোভিড-১৯ পজিটিভ আসে। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি ওই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থাও আশঙ্কাজনক। আর এই রিপোর্ট দেরিতে আসা নিয়েই নতুন করে চিন্তা শুরু হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের। বৃহস্পতিবারও জানা গিয়েছে, ২৮ জনের রিপোর্ট আসা বাকি রয়েছে।বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যভবনের তরফে যে বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে আসা ২৭ হাজার ১০৭ জনকে চিহ্নিত করে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৮১৮ জনের নজরদারির সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। ১৯৩ জন আইসোলেশনে রয়েছেন। বাকি ২৫ হাজার ০৯৬ জনকে এখনও বাড়িতে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে।এই বুলেটিনে আরও জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ২৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে ২৫৯ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এখনও পর্যন্ত ১০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের জীবাণু ধরা পড়েছে। আরও ২৮ জনের রিপোর্ট আসা এখনও বাকি আছে। যাঁরা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন, তাঁদের প্রত্যেকের শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। ২৪ ঘণ্টা তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে।এখনও যে ২৮ জনের রিপোর্ট আসেনি সেটা নিয়েই কিছুটা উদ্বেগ রয়েছে চিকিৎসক মহলে। আগেও দেখা গিয়েছে সাধারণত যে ক্ষেত্রে নমুনার রিপোর্ট আসতে কিছুটা দেরি হচ্ছে, সেক্ষেত্রে করোনা পজিটিভ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অনেক সময় আবার একবার পজিটিভ হলে দু’বার টেস্ট করে দেখা হচ্ছে। সেজন্য আরও সময় লাগছে।
এই সমস্যা দূর করতেই স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে করোনা পরীক্ষার কিট তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্যভবন। এই পরীক্ষায় কোনও রকমের দেরি চাইছে না তারা। কারণ, রিপোর্ট আসতে যত দেরি হবে ঝুঁকি ততটাই বাড়বে। আপাতত এই ২৮ টি রিপোর্টে কী আসে সেদিকেই তাকিয়ে সবাই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here