দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ করোনা বধে এবার হাতে এল নতুন অস্ত্র।মাঝারি ভাবে কোভিডে সংক্রমিত হয়েছেন, এমন প্রাপ্তবয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে জরুরি প্রয়োজনে এ বার ভাইরাস প্রতিরোধী ওষুধ (অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ) ‘ভিরাফিন’ ব্যবহার করা যাবে। এ ব্যাপারে দেশের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল (ডিসিজিআই)-এর অনুমোদন মিলেছে বলে ওই ওষুধের প্রস্তুতকারক সংস্থা ‘জাইডাস ক্যাডিলা’-র তরফে শুক্রবার ঘোষণা করা হয়েছে। করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে জাউডাস ক্যাডিলা -র ড্রাগ ‘ভিরাফিন’ ব্যবহারের অনুমতি দিল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। এই ড্রাগ ব্যবহারের করলে শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতির সম্ভাবনা অনেকটাই কমবে। শুধু তাই নয়, মৃদু উপসর্গবিশিষ্ট রোগীদের ক্ষেত্রে এই ড্রাগ বিশেষভাবে কার্যকরী হবে বলে আশাবাদী বিশেষজ্ঞরা।

জাইডাসের তরফে জানানো হয়, প্রাপ্তবয়স্ক স্বেচ্ছাসেবকদের উপর এই ড্রাগটি প্রয়োগ করা হয়েছিল। ফলাফলে দেখা গিয়েছে এই ড্রাগ নেওয়া ৭ দিনের মধ্যে ৯১.১৫ শতাংশ স্বেচ্ছাসেবকের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। করোনা আক্রান্ত রোগীদের দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে সাহায্য করবে ভিরাফিন দাবি ডাইডাস সংস্থার। এছাড়াও করোনার অন্যতম উপসর্গ শ্বাসকষ্টের সমস্যাও অনেকটা কমাতে সক্ষম এই ড্রাগ।

দেশের ২০ থেকে ২৫টি সেন্টারে এই ড্রাগের ট্রায়াল চলে। শরীরে অক্সিজেনের অভাব মেটাতে সক্ষম এই ড্রাগ, পরীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য। এই ড্রাগ প্রসঙ্গে জাউডাস ক্যাডিলার ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডা. সারভিল পাটেল জানান, এই মুহূর্তে ড্রাগটি বহু মানুষের কাজে আসতে পারে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ছাড়পত্র পেয়েছে ড্রাগটি। ‘

সংস্থার তরফে এও জানানো হয়েছে, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গিয়েছে ভিরাফিন-এর একটি ডোজেই কাজ হচ্ছে। ভিরাফিন-এর বৈজ্ঞানিক নাম- ‘পেগিলেটেড ইন্টারফেরন আলফা-২বি’।

হেপাটাইটিস-সি রোগের চিকিৎসায় ১০ বছর আগে ভিরাফিন চালু হয়েছিল ভারতে। এখন ওষুধটিকে কোভিডের চিকিৎসাতেও ব্যবহারের পথ খুলে গেল।হেপাটাইটিস-সি রোগের চিকিৎসায় ১০ বছর আগে ভিরাফিন চালু হয়েছিল ভারতে। এখন ওষুধটিকে কোভিডের চিকিৎসাতেও ব্যবহারের পথ খুলে গেল।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখ ৩২ হাজার ৭৩০। মারা গিয়েছেন দু’ হাজার ২৬৩ জন। বর্তমানে সারা দেশে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ লাখ ২৮ হাজার ৬১৬। সর্বমোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এক কোটি ৬২ লাখ ৬৩ হাজার ৬৯৫ জন। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক লাখ ৯৩ হাজার ২৭৯ জন।

করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্র কী কী পদক্ষেপ নিতে চলেছে, তা গতকালই জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আজই পরিকল্পনা জানিয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার কথা কেন্দ্রের।এদিকে বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, যে হারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে, তাতে পুরনো নীতিতে মহামারি রোখা সম্ভব নয়। বিকল্প পন্থা ভাবা দরকার।

গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে করোনার প্রথম ঢেউ দেশে আছড়ে পড়ার পর, বিপাকে পড়েছিল প্রশাসন। মারণ ভাইরাসটি সম্পর্কেও কারও ধারণা ছিল না। হাসপাতালে ছিল না যথেষ্ট পরিমাণ শয্যা, ছিল না পর্যাপ্ত টেস্ট কিট। অক্সিজেনের ঘাটতিও দেখা দিয়েছিল দেশে। সে সময় আমেরিকা কিংবা ইউরোপের চেয়ে আলাদা ছিল না ভারতের পরিস্থিতি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here