দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দেশজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ ছুঁতে চলেছে। মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে প্রতিদিন। অসংখ্য নমুনা রোজ পাঠানো হচ্ছে পরীক্ষার জন্য। এই অবস্থা করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর তা হলে দেশে পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থার যাতে সমস্যা না হয়, সে জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। সে কারণেই সমস্ত রাজ্যকে সতর্ক করে আরও কিছু হাসপাতালের পরিকাঠামো বাড়ানোর পরামর্শ দিলেন ক্যাবিনেট সচিব।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান জানিয়েছে, ভারতে ৮৪ হাজারের জন্য বরাদ্দ একটামাত্র আইসোলেশন বেড। যদি কোয়ারেন্টাইনে পাঠাতে হয়, তাহলে একটা বেড ধার্য প্রতি ৩৬ হাজার দেশবাসীর জন্য। শুধু তাই নয়, যদি করোনার সংক্রমণ মহামারী হয়ে দেখা দেয় এ দেশে, তাহলে চিকিৎসা করার মতো ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদেরও অভাব তীব্র হবে। দেখতে গেলে প্রতি ১১,৬০০ জনের জন্য ডাক্তার রয়েছেন একজন। আর প্রতি ১,৮২৬ জন রোগীর জন্য হাসপাতালের বেড রয়েছে একটি। ফলে প্রতিটা রাজ্যের প্রতিটা হাসপাতালকেই যে আরও অনেকটা প্রস্তুতি নিতে হবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
চিকিৎসকরা বারবার বলছেন, বিপুল জনসংখ্যার এই দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণকে ঠেকাতে হলে সচেতনতার পাশাপাশি সামাজিক স্তরে মেলামেশাও বন্ধ করে দিতে হবে। কারণ সংক্রমণ যদি সামাজিক স্তরে গিয়ে ঠেকে (Community Transmission) তাহলে সেই সব রোগীর চিকিৎসা করার জন্য বা সংক্রমণ সন্দেহে আসা মানুষজনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠাবার মতো জায়গার অনেকটাই ঘাটতি রয়েছে। এই সব ভেবেই হয়তো দেশজুড়ে লকডাউনেরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) আধিকারিক মাইক রায়ান বলেছেন, লকডাউনের বদলে সচেতনতা অনেক বেশি উপযোগী। সংক্রামিত রোগীদের খুঁজে বার করে তাদের পরীক্ষা করানো দরকার। তা না হলে সংক্রমণ ঠেকানো যাবে না।
সেই চেষ্টাই চলছে দেশজুড়ে। কিন্তু তবু বিপদের তুলনায় পরীক্ষা এখনও অনেকটাই কম করা হচ্ছে বলে অনুমান করা হচ্ছে নানা মহলে। এই অবস্থায় স্টেজ থ্রি ঠেকাতে সবচেয়ে আগে সামাজিক স্তরে মেলামেশা বন্ধ করা ছাড়া উপায় নেই। কারণ এ দেশে সংক্রমণ মহামারীর চেহারা নিলে তাকে রোখার মতো পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here