দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে মঙ্গলবার রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করলেন বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। বৈঠক থেকে বেরিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন, কখন কী আন্দোলন হবে। ডিসেম্বর পর্যন্ত একটা কার্যসূচি তৈরি হয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘উনি পরিষ্কার করে বলুন, কী করবেন। তা হলেই মিটে যায়। সবাইকে উদ্বেগে রাখা, এটাই রাজনীতি।’

বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার উত্তরবঙ্গ সফরের পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কলকাতা ও বীরভূম সফরের পরে আজ হেস্টিংসে বেজিপের কার্যালয়ে রাজ্য নেতাদের নিয়ে বৈঠক করলেন অমিত মালব্য। বৈঠকে অমিত মালব্য, দিলীপ ঘোষ ছাড়াও ছিলেন মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন, অনুপম হাজরা, স্বপন দাশগুপ্ত, রাহুল সিনহা সহ বিজেপি নেতৃত্ব।

বিরোধীদের অভিযোগ, বিজেপি-র আইটি সেল সোশ্যাল মিডিয়ায় কুত্‍সা, ভুয়ো খবর প্রচার করে। সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে দিলীপ বলেন, ‘কুত্‍সা প্রচার করলে তার জন্য আইন, আদালত আছে। ওঁরা কোর্টে যান তাহলে। কেউ একজন ফেসবুকে কিছু লিখলে, তার বাড়ি থেকে পুলিশ তুলে নিয়ে যাচ্ছে। পুলিশকে কে অধিকার দিয়েছে গ্রেফতার করার? সাইবার ক্রাইমে কি আছে এটা? এত সোশ্যাল মিডিয়াকে ভয় পাচ্ছেন কেন?’

তৃণমূল অভিযোগ করছে, আসাদ উদ্দিন ওয়েইসির মিম-কে এ রাজ্যে সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করার কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপ বলেন, ‘মুসলিম ভোটকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করি না। এখনও পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম ভোটাররা আমাদের ভোট দেননি। যদি এ রাজ্যের মুসলিমরা সিপিআইএম, কংগ্রেস, তৃণমূল ছাড়া অন্যদলকে ভোট দেন, তা হলে ধরে নিতে হবে, এই তিন দল মুসলিমদের ধোঁকা দিয়েছে। বিজেপি-কে হয়তো এখনও বিকল্প হিসেবে মনে করেননি ওঁরা।’

প্রসঙ্গত, সোমবার রাতেই শহরে এসে পৌঁছেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা সুনীল দেওধরও। ত্রিপুরায় বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠার মূল কারিগর সুনীল দেওধরকে আপাতত পাঠানো হয়েছে হাওড়া, হুগলি এবং মেদিনীপুরের দায়িত্ব দিয়ে। এই তিন জেলার সাংগঠনিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তিনি বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠাবেন দিল্লিতে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here