দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আবারও ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি৷জাতীয় আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাসে সতর্কবার্তা জারি করেছে। রবিবার টুইট করে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। 

রবিবার আই এম ডি (IMD)-র ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, দক্ষিণপূর্ব আরব সাগর ও লাক্ষাদ্বীপের কাছে একটি নিম্নচাপ এলাকার সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার তা নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে এবং তার পরদিন তা ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড় উত্তরের দিকে অগ্রসর হয়ে ৩ জুন বিকেলের দিকে গুজরাট ও উত্তর মহারাষ্ট্রের উপকূল এলাকায় অবস্থান করার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

মাত্র কয়েক দিন আগেই পশ্চিমবঙ্গকে তছনছ করে দিয়ে গিয়েছে সুপার সাইক্লোন আমপান। ধ্বংস করে দিয়ে গিয়েছে রাজ্যের গোটা কাঠামোকে। প্রায় ১০০ মানুষের পাশাপাশি হাজার হাজার গাছেরও প্রাণ নিয়েছে এই ঝড়। ধুলোয় মিশেছে হাজার হাজার বাড়ি। তবু সঠিক পূর্বাভাস থাকায় বহু মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে ক্ষয়ক্ষতি অনেক কমানো সম্ভব হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে সেই কাজে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় প্রশাসনকে। বাংলার এই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আমপান  পরিস্থিতি পরিদর্শনে রাজ্য সফরে এসে তিনি আপত্‍‌কালীন এক হাজার কোটি টাকার প্যাকেজও ঘোষণা করেছেন। ত্রাণ ও পূণর্নির্মাণে ৬,২৫০ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

করোনায় সবচেয়ে মারাত্মক অবস্থা মহারাষ্ট্রের। ভালো পরিস্থিতি নয় গুজরাটেরও। এই অবস্থায় ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাসে মাথায় হাত পড়েছে দুই রাজ্যের। জোড়া ধাক্কা সামলাতে তত্‍‌পরতা শুরু করেছে প্রশাসন।

হাওয়া অফিস সূত্রের বক্তব্য, এই নিম্নচাপের জেরে কেরল ও উপকূলীয় কর্নাটকে আগামী দু’‌দিন মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে লাক্ষাদ্বীপ, কোঙ্কন আর গোয়াতে।
এদিকে, ২৫ মে–১ জুনের মধ্যে দেশে বর্ষা ঢোকার পূর্বাভাস থাকলেও সেভাবে সক্রিয় নয় মৌসুমি বায়ু। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে উত্তর ভারতে একপ্রস্থ ঝড়–বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু তাকে বর্ষা হিসেবে দেখতে নারাজ আবহাওয়াবিদরা। তাই দেশের পশ্চিম অংশে তৈরি এই নিম্নচাপ বলয় ঘিরে আবহাওয়াবিদরা আশায় বুক বাঁধছেন।  

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here