দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের পক্ষে বিজেপির মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার বেঁধে গেল টালিগঞ্জ ফাঁড়ি এলাকায়। মিছিল শুরুর আগেই কৈলাস বিজয়বর্গীয়,মুকুল রায়, জয়প্রকাশ মজুমদার-সহ অসংখ্যা বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিজেপি-পুলিশ ধস্তাধস্তিতে কার্যত খণ্ডযুদ্ধের চেহারা নেয় ওই এলাকা।

সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল আইনে পরিণত হওয়ার পর যে ভাবে বিরোধিতা শুরু হয়, তখন বিজেপি সিদ্ধান্ত নেয় পাল্টা তারাও কেন্দ্রীয় সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অভিনন্দন জানিয়ে জেলায় জেলায় মিছিল করবে। সেই অনুযায়ী বালুরঘাট থেকে নন্দীগ্রাম, ফালাকাটা থেকে জয়নগর—একের পর এক মিছিল করছেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়রা। এদিন কলকাতার মিছিল শুরুর আগেই আটকে দেয় পুলিশ।

বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, “তৃণমূলের জমানায় একটা মিছিল করতে গেলেও পুলিশ গ্রেফতার করে নিচ্ছে। এরাই আবার সংসদে গিয়ে গণতন্ত্রের বুলি আওড়াচ্ছে।” দেখা যায় বেশ কয়েকটি বাসে করে বিজেপি নেতা-কর্মীদের তুলে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

এর আগেও কলকাতার একাধিক জায়গায় বিজেপির এই অভিনন্দন মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধেছিল। জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে যাদবপুরের সুলেখা মোড়ে বিজেপির মিছিল যেতেই ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয়। অন্য দুদিক থেকে আসা দুটি বিজেপি বিরোধী মিছিল ঘিরে ফেলে ফেরুয়া শিবিরকে। পরস্থিতি সামাল দিতে ব্যাপক লাঠি চালাতে হয় পুলিশকে।

তারপর গত সপ্তাহে পাটুলির মিছিলেও উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে চলা মিছিলের সামনেই রাস্তা আটকে দাঁড়িয়ে পড়েন একজন তরূনী। হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা,’নো সিএএ, নোএনআরসি।’ তা নিয়েও কম উত্তেজনা হয়নি। কেন ওই তরুণী একা প্রতিবাদ করেছেন তা নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতির বক্তব্য নতুন বিতর্ক তৈরি করে। যদিও এদিন পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, মিছিলের কোনও অনুমতিই ছিল না। তাই আটকানো হয়েছে।

ছবি – কুন্তল চক্রবর্তী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here