দেশেরসময় ওয়েব ডেস্ক: বড়দিন -পিকনিকের মজা যখন প্রায় নষ্ট হওয়ার মুখে, তখনই সুখর এল আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে, মঙ্গলবারই ঝড়-বৃষ্টির শেষ দিন। বুধবার থেকেই কলকাতা শহর সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গকে ঘিরে ধরবে ঘন কুয়াশা। বেশ জমাটি ঠান্ডায় জুবথবু হবেন বঙ্গবাসী। নিম্নচাপ কাটলেই শুরু হবে লম্বা শীতের ইনিংস। তাই নিশ্চিন্তেই শীতের পিকনিক বা বড়দিনে ঘোরাফেরার প্ল্যান করে ফেলুন এখনই৷

ঘূর্ণিঝড় ফেতাইয়ের আসা- যাওয়ার মাঝে লুকিয়ে পড়েছে বঙ্গের শীত। সোমবারই ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি হারিয়েছে। সোমবার পূর্ব গোদাবরী অঞ্চলে আছড়ে পড়ার পরই কমেছে তার দাপট। হাওয়া অফিস আগেই জানিয়েছিল, ফেতাইয়ের প্রভাবেই সোম- মঙ্গল কলকাতা সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে ভারী-অতি ভারী বৃষ্টি পড়বে সারাদিন। ইতিমধ্যেই তাপমাত্রার পারদ নেমেছে। আজ কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৬ডিগ্রি, স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি।সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ অন্ধ্রের পূর্ব গোদাবরী উপকূলে আছড়ে পড়ে ফেতাই। সতর্কতা আগে থেকে জারি থাকলেও ঝড়ে লন্ড ভন্ড হয়েছে একাধিক এলাকা। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্ধ্রের নারসাপুর এলাকা। এছাড়াও বিশাখাপত্তনমে বড় বড় গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশে ১১ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থলে পাঠাতে সফল হয়েছে প্রশাসন। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েকহাজার ঘরবাড়ি। নারসিপত্তনমে ঘরের টালি মাথায় পড়ে একজনের মৃত্যুও হয়েছে।ঘণ্টা প্রতি ১৯০ কিমি বেগে ধেয়ে আসে ফেতাই। কয়েক মিনিটের তাণ্ডবের পরই ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি হারায়। ঝড়ের দাপট কম থাকলেও তামিলনাড়ু উপকূলে এখনও চলছে বৃষ্টি। জারি অরেঞ্জ অ্যালার্ট।

ঘূর্ণিঝড় ফেতাই–এর প্রভাবে মঙ্গলবারওদিনভর বৃষ্টিমুখর কলকাতা এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ। সকাল থেকেই কোথাও মাঝারি, কোথাও ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছে। তার সঙ্গেই বইছে কনকনে হাওয়া। মঙ্গলবার সকাল ৮.‌৩০ মিনিট পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৪.‌৫ মিলিমিটার। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.‌১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস, মঙ্গলবারও বৃষ্টি চলবে। বুধবার সকালে বৃষ্টি না হলেও আকাশ মেঘলা থাকবে। বিকেল থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে।

বুধবার রাত থেকে কমবে তাপমাত্রা। আগামী ২০–২৫ তারিখের মধ্যে শীতের প্রকোপ বাড়বে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

বৃষ্টির ফলে রাস্তায় গাড়ি চলাচল অত্যন্ত কম। কর্মব্যস্ত দিন হলেও রাস্তায় মানুষজনের সংখ্যা কম। অফিসযাত্রী ছাড়া সেভাবে মানুষজন বেরচ্ছেন না।

যাত্রীদের সংখ্যা কম হওয়ায় বাস, অটো, বা টোটোচালকরাও তাদের ট্রিপের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে একে বৃষ্টি এবং সঙ্গে কনকনে হাওয়া, তার উপর গাড়ির সংখ্যা কম হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন রাস্তায় বেরনো মানুষজন।

মঙ্গল বার সকালের দিকে দু’একবার সূর্যকে এক ঝলক উঁকি দিতেও দেখা গেছে ,যদিও শীতে কাঁপছে উত্তরবঙ্গ৷ কনকনে ঠান্ডা হাওয়া বয়েই চলেছে৷ প্রকৃতি জানান দিচ্ছে শীত আসছে জাঁকিয়ে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here