দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃঅমিত শাহ-মুকুল রায়ের সভা শেষ হওয়ার পরেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয় কাঁথির। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূলের পার্টি অফিস। বিজেপির একাধিক গাড়িও জ্বলতে দেখা যায়। পারস্পরিক অভিযোগের পাল্লা চড়তে থাকে। ব্যাপক যানজট হয় কাঁথি-মেচেদা বাইপাসে।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার কাঁথিতে বিজেপির সভা শেষ হওয়ার পরে বিজেপি কর্মীরা ফিরছিলেন। অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে কয়েক জন কর্মী-সমর্থক মদ্যপ ছিলেন। সভাস্থল থেকে এক কিলোমিার দূরে কাঁথি-মেচেদা বাইপাসে তৃণমূলের পার্টি অফিস। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, পার্টি অফিসের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়ে ভিতর থেকে কটূক্তি করেন তৃণমূল কর্মীরা। সেই সূত্র ধরে পাল্টা বচসা শুরু করে বিজেপি। এর জেরে শুরু হয় হাতাহাতি। অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা ব্যাপক হামলা চালায় দল বেঁধে। ভাঙচুর চালানো হয় পার্টি অফিসে। লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। আরও অভিযোগ, মারধর করা হয় কর্মীদের।

স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, কাঁথির পরিস্থিতি অশান্ত করতে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের দিয়ে তাণ্ডব চালানো হয়েছে। এ সবই চক্রান্ত। রাজনৈতিক ভাবে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে সাধারণ মানুষকে চমকানোর চেষ্টা করছে বিজেপি।

বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “হাজার চেষ্টা করেও সভা বানচাল করতে না পেরে এখন গাড়ি ভাঙচুর করা, আমাদের কর্মীদের মারধর করা– এ সবের পথে নিয়েছে তৃণমূল। তাতে অবশ্য কিছু যাবে আসবে না। মানুষ যা বোঝার বুঝতে পারছে।”

ঘটনার পরে ব্যাপক যানজট শুরু হয় বাইপাসে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিছু ক্ষণ পরে পরিস্থিতি আপাতত শান্ত। কিন্তু রাস্তা দিয়ে যানচলাচল এখনও স্বাভাবিক হয়নি বলেই স্থানীয় সূত্রের খবর।

তৃণমূলের সাধারণ জেলা সম্পাদক কণিষ্ক পাণ্ডা বলেন, “বহিরাগতদের নিয়ে এসে কাঁথিতে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। আমাদের পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। কর্মী সমর্থকদের মারধর করেছে। আমরা পুলিশকে জানিয়েছি।”

এক তৃণমূল কর্মীর দাবি, “ওরা দলে ভারী হওয়ার কারণে প্রচণ্ড ভাবে আক্রমণ করে। সভা-ফেরত উন্মত্ত লোকজনের কোনও হুঁশ ছিল না। বেশির ভাগই মদ খেয়ে ছিল ওরা। নির্বিচারে মারধর শুরু করে। আগুন লাগিয়ে দেয়।”

উল্টো দিকে বিজেপির কর্মীদের দাবি, তাঁরা কিছুই করেননি। সব অভিযোগ মিথ্যে। তাঁদের দাবি, সভা থেকে যখন তাঁরা ফিরছিলেন, তৃণমূলের ওই পার্টি অফিসের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়ে আচমকা হামলা চালায় তৃণমূল কর্মীরা। বিজেপি-র দাবি, তাঁদের ৩০টা গাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এক বিজেপি কর্মীর কথায়, “সভা শেষ করে বাড়ি ফিরছিলাম আমরা। জানতামও না, ওখানে বিপদ অপেক্ষা করছে। তৃণমূলের পার্টি অফিসের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়েই আচমকা হামলা করে ওরা।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here