দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ চোরাচালানকারীরা মাদক অর্ডার এবং সরবরাহ করার জন্য অ্যামাজ়ন ইন্ডিয়ার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছিল বলে অভিযোগ। রান্নায় ব্যবহার করার শুকনো পাতার আড়ালে ওই মাদক চোরাচালান করা হচ্ছিল।

প্রোডাক্টের পোশাকি নাম পুড়িয়া! আসলে তা গাঁজা । এবং তা নাকি বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে অ্যামাজন সেলার। মধ্যপ্রদেশ পুলিশের তদন্তে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। যার জেরে অ্যামাজনের ম্যানেজিং ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে দায়ের করা হল এফআইআর।

গাঁজা পাচারের একটি বিরাট চক্রের হদিশ পেয়েছে পুলিশ। মধ্যপ্রদেশের ভিন্ড জেলার পুলিশ সুপার মনোজ কুমার জানিয়েছেন, এই ঘটনায় মাদক মামলার নির্দিষ্ট ধারাতে গোহাদ থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, চলতি মাসের ১৩ নভেম্বর গোয়ালিওর বাসিন্দা দুজনের কাছ থেকে প্রায় কেজি ২১ গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তাদেরকে জেরা করেই এই চক্রের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এসপি জানিয়েছেন, বিজেন্দ্র তোমর এবং সুরজ ওরফে কাল্লু পাওয়াইয়া নামে দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তদন্তের ফলে গোয়ালিওরের আরেক বাসিন্দা মুকুল জয়সওয়াল এবং ভিন্দের মেহগাঁওয়ের বাসিন্দা চিত্রা বাল্মিকিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এরা সবাই মিলে বাবু টেক্সট নামের একটি সংস্থা খুলেছিল। অ্যামাজন সেলারে তাদের নাম নথিভুক্ত রয়েছে। এই ঘটনা সামনে আসতেই অ্যামাজনের জবাব তলব করে পুলিশ। কিন্তু ইকমার্স সংস্থাটি যে জবাব দিয়েছে আর পুলিশের তদন্তে যা উঠে এসেছে তাতে বিস্তর ফারাক রয়েছে বলে দাবি। এরপরেই মাদক আইনে অ্যামাজন কর্তার বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here