দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শ্রী হরিবংশজি বিনয়ী এবং উদার প্রকৃতির মানুষ। ক’দিন আগেই যাঁরা তাঁকে আক্রমণ করেছেন, অপমান করেছেন, তাঁদের নিজের হাতে চা দিতে গিয়েছিলেন তিনি।দেশের মানুষ তাঁকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। আমিও তাঁকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।’ মঙ্গলবার সকালে এমনই টুইট করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
To personally serve tea to those who attacked and insulted him a few days ago as well as those sitting on Dharna shows that Shri Harivansh Ji has been blessed with a humble mind and a big heart. It shows his greatness. I join the people of India in congratulating Harivansh Ji.
— Narendra Modi (@narendramodi) September 22, 2020
রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, তিনি গণতান্ত্রিক রীতিনীতির তোয়াক্কা করেননি। রবিবার তড়িঘড়ি কৃষি বিলগুলি পাশ করাতে সরকারকে সাহায্য করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্যসভায় অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চেয়েছিলেন বিরোধীরা। চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু অবশ্য সেই প্রস্তাব মানেননি।
রাজ্যসভায় বিশৃঙ্খলার অভিযোগে সোমবার আট সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। তাঁরা সোমবার রাতভর সংসদ চত্বরে ধরনায় বসেন। মঙ্গলবার সকালে তাঁদের চা খাওয়াতে যান হরিবংশ। কিন্তু তাঁরা সেই চা খাননি। উলটে অভিযোগ করেন, চা খাইয়ে কূটনীতি করতে এসেছেন হরিবংশ। এরপরে মোদী হরিবংশকে অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেন।
সাসপেন্ডেড এমপিদের মধ্যে আছেন তৃণমূল কংগ্রেসের ডেরেক ওব্রায়েন, দোলা সেন, আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিং, কংগ্রেসের রাজীব সাতভ, সৈয়দ নাসির হুসেন, রিপুন বরেন, সিপিএমের কে কে রাগেশ, এলামারান করিম। তাঁরা এক সপ্তাহ রাজ্যসভার অধিবেশনে অংশ নিতে পারবেন না। সোমবার রাজ্যসভায় তাঁদের শাস্তি ঘোষণা করার পরেই তাঁরা সংসদ চত্বরে প্রতিবাদে বসেন। তাঁদের হাতে রয়েছে প্ল্যাকার্ড। তাতে লেখা, ‘আমরা কৃষকদের জন্য লড়াই করব’, ‘পার্লামেন্টকে খুন করা হয়েছে’।
আট এমপি সংসদ চত্বরে কাপড় বিছিয়ে ধরনায় বসেছেন। তাঁদের সঙ্গে আছে বালিশ, কম্বল, দু’টি ফ্যান এবং মশা তাড়ানোর ধুপ। বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতা তাঁদের সঙ্গে দেখা করে সমর্থন জানিয়ে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লা, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া, সমাজবাদী পার্টির জয়া বচ্চন এবং কংগ্রেস নেতা আহমদ পটেল। কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং আট এমপির সঙ্গে প্রায় চার ঘণ্টা ধরনায় বসেন।
ডেরেক ওব্রায়েন জানান, বিরোধী এমপিরা অনেকে বাড়ি থেকে তাঁদের জন্য খাবার পাঠাচ্ছেন। প্রতিবাদীদের মধ্যে দু’জনের বয়স ৬৫-র বেশি। তাঁরা হলেন রিপুন বরেন ও এলামারান করিম। তাঁরা ডায়াবেটিসের রোগী। যেখানে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তার কাছেই দাঁড়িয়ে আছে একটি অ্যাম্বুলেন্স।
সঞ্জয় সিং বলেন, “মোদী সরকারকে ব্যাখ্যা করতে হবে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট তাদের হাতে না থাকা সত্ত্বেও কৃষি বিলগুলি পাশ করানো হল কেন? যতক্ষণ না সরকার ব্যাখ্যা দিচ্ছে, আমরা প্রতিবাদ চালিয়ে যাব।”