দেশের সময়, ওয়েব ডেস্ক:- ঐতিহ্য ও পরম্পরা কে পাথেয় করে প্রতি বছরের মতো এই বছরেও “চারুকলা” উৎসবের সূচনা হলো বনগাঁ-য়। যা এবছর পদার্পণ করলো ২১তম বর্ষে। চিত্র, ভাস্কর্য ও হস্তশিল্প প্রদর্শনীর মেলবন্ধনে যা অনন্য মাত্রা যোগ করতে চলেছে মানুষের মনে। “ভালবাসি ছবি, একসাথে পথ হাটি” এই ভাবনাকে সাথী করেই গত ২৫শে ডিসেম্বর মঙ্গলবার বনগাঁ ত্রিকোণ পার্ক থেকে তালতলা অ্যাথলেটিক্স ক্লাব ময়দান পর্যন্ত শেষ হয়েছে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। আর আজ বিশিষ্ঠ ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতিতে শুভ সূচনা হলো অনুষ্ঠানের। বৃহস্পতিবার বনগাঁ চারুকলা উৎসব-এর শুভ উদ্বোধন করেন শিল্পী শ্রী রতন আচার্য। পরবর্তীতে মমতা ভট্টাচার্য শারদ চারুকলা সন্মাননা প্রদান। এই বছর উক্ত সন্মানে ভূষিত হবেন শিল্পী বীথিকা বোস। এছাড়াও সন্ধা থেকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে উৎসবমুখর হয়ে উঠবে অনুষ্ঠান প্রাঙ্গন। শুক্রবার সকাল ন’টায় অনুষ্ঠিত হবে বসে আঁক প্রতিযোগিতা। দুপুর দু’টোয় মৃৎ কর্মশালার পাশাপাশি নবীন শিল্পীদের কর্মশালা অনুষ্ঠানকে নতুন মাত্রায় যুক্ত করবে বলেই মত আয়োজকদের। অন্যদিকে আগামীকাল একই দিনে বিকেলে অভিজ্ঞ শিল্পীদের কর্মশালা ও তথ্যচিত্র প্রদর্শন উপভোগ করতে যেন মুখীয়ে আছেন বনগাঁবাসী। এরপর ২৭তারিখ রবিবার বিকেল চার’টে শিল্প বিষয়ক আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে উৎসব প্রাঙ্গনে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে থাকবেন শ্রী তাপস বিশ্বাস। সন্ধাবেলা চারুকলা উৎসব ২০১৮ প্রদর্শনী বিভাগে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। সবশেষে ৩০শে ডিসেম্বর রবিবার দুপুরে মহিলাদের জন্য আলপনা প্রতিযোগিতা ও সন্ধায় পুরস্কার বিতরণী। রাত্রী আট’টায় প্রদীপ প্রজ্জলনের মধ্যে দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে অনুষ্ঠানের। উপস্থিত থাকবেন বনগাঁ পৌরসভা-র পৌরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য। বনগাঁ উত্তর বিধানসভা-র বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস ও প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ। অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে চারুকলা পর্ষদের সম্পাদক শঙ্কর মন্ডল আমাদের জানালেন, “এই বছর চারুকলা উৎসব ২১বছরে পদার্পণ করলেও আদতে তা তিরিশ বছরের পুরনো”। “মাঝে কয়েক বছর বিশেষ কারনে এই মেল‍া বন্ধ থাকলেও চারুকলা উৎসবের পরিচালনায় পুনরায় তা শুরু করা সম্ভব হয়েছে”। “শুধু প্রদর্শনী নয় তার সাথে বহু ভাল মানের ছবি ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে মানুষের মনে জায়গা করে নেবে এই উৎসব”।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here