দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ মূলত, সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক বলেই ওয়াইসির দলকে চেনে রাজনৈতিক মহল। নিজেদের সেই সমীকরণেই আস্থা রেখেছে দল। তবে ওয়াইসি জানিয়েছেন, তাঁর দল হিন্দু বিরোধিতা বা সাম্প্রদায়িক উস্কানিতে বিশ্বাস করে না। সেই কারণে দলিত, হিন্দুরাও তাঁর দলকে ভোট দিয়েছে বিহারে।
এই বলেই অবশ্য থেমে থাকেননি হায়দরাবাদের সাংসদ। তিনি জানান, বিহারে আসনের খাতা খুললেও এখনও ‘পোস্ট পোল অ্যালায়েন্স’ নিয়ে তাঁর কাছে কোনও প্রস্তাব আসেনি। যদি ভোটের ফল শেষে এই ধরনের কোনও প্রস্তাব তাঁর দলের কাছে, সেই সময় এ সব নিয়ে ভাববেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গের ভোট সমীকরণ বলছে, ওয়াইসির দল রাজ্য়ে প্রার্থী দিলে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসবে মমতার। যা আগভাগেই আঁচ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। ইতিমধ্য়েই ওয়াইসির নাম না করেই তাঁর দলকে টার্গেট করেছে তৃণমূল। বেশিরভাগ জায়গায় এআইএমআইএম-কে বিজেপির বি-টিম বলে প্রচার করছে ঘাসফুল ব্রিগেড।
রাজ্য় রাজনীতির মানচিত্র বলছে, পশ্চিমবঙ্গে মালদা, মুর্শিদাবাদ,উত্তরবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলা ছাড়াও দুই ২৪ পরগণায় ইতিমধ্য়েই জল মাপতে শুরু করেছে ওয়াইসির দল। এ রাজ্য়েও সংখ্য়ালঘু ভোটব্যাঙ্কই তাদের টার্গেট। রাজ্য় রাজনৈতিক মহল বলছে, বঙ্গের বিধানসভা ভোটে জোরদার বিজেপি বিরোধিতার হাওয়া তুলবে এআইএমআইএম। তারা মুসলিম ভোট নিশানা করলে সুবিধা হবে বিজেপিরই। রাজ্য়ে মসনদে বসার পর মমতার দিকেই গিয়েছে সংখ্যালঘু ভোট। এবার ওয়াসির দল সেখানে হাত দিলে ক্ষতি হবে তৃণমূলেরই।