দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ ফের কি মোদী সরকার?
এর সম্পূর্ণ উত্তর পাওয়া যাবে আগামী ২৩ মে।মোট সাত দফায় গোটা দেশে ভোট গ্রহণের পর ওই দিন গণনা ও ফলপ্রকাশ হবে।
তবে তার আগে, বিভিন্ন জনমত সমীক্ষাই ইঙ্গিত দিচ্ছে, আরও পাঁচ বছরের জন্য কেন্দ্রে সরকার গড়তে পারেন নরেন্দ্র মোদী।

যদিও অধিকাংশ সমীক্ষার মতে, অমিত শাহ যাই দাবি করুন, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না বিজেপি। তবে এনডিএ-র শরিকদের সমর্থন নিয়ে অনায়াসে সরকার গড়তে পারবেন মোদী। অর্থাৎ শরিকদের সমর্থন নিয়ে ম্যাজিক সংখ্যা ২৭২ ছুঁয়ে ফেলতে পারবে বিজেপি।

দেখে নেওয়া যাক পৃথক ভাবে জনমত সমীক্ষাগুলি কী বলছে?
সি ভোটার: এদের সমীক্ষার মতে লোকসভা ভোটের তুলনায় বিজেপি তথা এনডিএ-র আসন সংখ্যা অনেকটাই কমে যাবে। চোদ্দর নির্বাচনের মতো ৩৩০ টি আসন পাবে না। বরং তা কমে গিয়ে এ বার পেতে পারে ২৬৪ টি আসন।

এর পর অবশ্য চন্দ্রশেখর রাওয়ের টিআরএস বা জগন্মোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেসের মতো দলের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়ে ফেলতে পারে সি ভোটার।

সি ভোটার আরও জানিয়েছে, পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার হামলার পর মোদীর জনপ্রিয়তা দুম করে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। ৫২ শতাংশ মানুষ বলছেন, তাঁরা মোদীর কাজে খুশি।

টাইমস নাউ – ভিএমআর : এই সমীক্ষার হিসাবে অবশ্য কোনও ত্রিশঙ্কু পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হয়নি। ভিএমআর-এর বক্তব্য, এনডিএ হল প্রাক নির্বাচন জোট। সেই হিসাবে বিজেপি-র নেতৃত্বাধীন এই জোট লোকসভা ভোটে মোট ২৭৯ টি আসন পেতে পারে।

যা ম্যাজিক সংখ্যার থেকে বেশি। তুলনায় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট অনেক দূরের গ্রহ,-তারা পেতে পারে ১৪৯ টি আসন। সপা, বসপা, তৃণমূল, বিজু জনতার মতো দল মিলে আরও ১১৫ টি আসন জিততে পারে।

ইন্ডিয়া টিভি-সিএনএক্স: চোদ্দর ভোটের তুলনায় বিজেপি-র আসন কমে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে এই সমীক্ষাও। তাদের দাবি, গত লোকসভা ভোটের তুলনায় এ বার ৫২ টি আসন কম পেতে পারে বিজেপি। তারা পেতে পারে ২৩২ টি আসন। কংগ্রেস পেতে পারে ৯৭ টি আসন।

ফলে এমনিতেই সরকার গঠনের দৌড়ে এগিয়ে থাকবে বিজেপি। তাদের প্রাপ্ত আসনের সঙ্গে শরিকদের আসন সংখ্যা যোগ করলে তা টায় টায় ম্যাজিক সংখ্যা তথা ২৭২ ছুঁয়ে বলবে বলেই সিএনএক্সের মত।

লোকনীতি-সিএসডিএস-দ্য হিন্দু : এদের সমীক্ষার মতে এ বারের লোকসভা ভোটে বিজেপি এবং কংগ্রেস ,- দুজনেরই ভোট চার শতাংশ করে বাড়বে। তবে এই বাড়তি ভোটের জন্য কংগ্রেস আসন বাড়াতে পারলেও,

বিজেপি-র আসন সংখ্যা আগের থেকে বাড়বে না। কারণ, বেশ কিছু রাজ্যে বিরোধী ভোট এককাট্টা হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশে সপা-বসপা জোটের জন্য সমূহ ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বিজেপি-র।

তবে লোকনীতির পুর্বানুমান হল, এর পরেও বিজেপি ২২২ থেকে ২৩২ টি আসন একার ক্ষমতায় জিততে পারে। শরিকদের সমর্থন যোগ করলে এনডিএ পেতে পারে ২৬৩ থেকে ২৮৩টি আসন। তুলনায় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট পেতে পারে ১১৫ থেকে ১৩৫ টি আসন।

বলে রাখা ভাল, জনমত সমীক্ষা যে সব সময় সঠিক পুর্বানুমান করতে পেরেছে তা নয়। তার অনেক কারণ রয়েছে। প্রথমত কোন সময়ে সমীক্ষাটি করা হচ্ছে? দ্বিতীয়ত, স্যাম্পল সাইজ কতটা বড়? অর্থাৎ কত জনের সঙ্গে সমীক্ষকরা কথা বলেছেন? গোটা দেশের মুড ঠিক ঠাক ধরা গিয়েছে কিনা ইত্যাদি।

তবে সমীক্ষকদের মতে, এটা ঠিকই যে, হুবহু আসন সংখ্যা মিলিয়ে দেওয়া কঠিন। তবে সবকটি জনমত সমীক্ষার পুর্বানুমান টেবিলে ফেললে দেখা যাবে, তা সার্বিক ভাবে দেশের মুড তুলে ধরছে। এবং এ বার সেই মুড হল, এখনও মোদীর বিকল্প তৈরি হয়নি কেন্দ্রে। আরও একবার দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে পারে নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী।

স্বাভাবিক ভাবে এই সব সমীক্ষার হিসাবকে কোনও রাজনৈতিক দলই মেনে নিতে চায়নি। বিজেপি-র দাবি তাঁরা একাই তিনশ-র বেশি আসন পাবেন। কংগ্রেসেরও মত, এ বার সরকার হবে তাদের নেতৃত্বে। আর তৃণমূল তো কথাই নেই। তাদের বক্তব্য, এ সব সমীক্ষার নেপথ্যে অনেক খেলা রয়েছে। মানুষের মনের খোঁজ এরা পায়নি।

পেয়েছে কি পায়নি তার জবাব পাওয়া যাবে আগামী ২৩মে ইভিএমে। এখন শুধু অপেক্ষা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here