দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ ফের গুলি করে খুনের চেষ্টা করা হল তৃণমূল কাউন্সিলরকে, ঘটনাটি ঘটেছে বজবজ।

পুলিশ জানিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা বজবজ পৌরসভা ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পার্টি অফিসে ছিলেন। তখনই, অফিসের মধ্যে ঢুকে তাঁকে পরপর দু’টি গুলি করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন কাউন্সিলর মিঠুন ঠিকাদার। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে।


কয়েক দিন আগেই নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভার অন্তর্গত ফুলবাড়ি এলাকায় বাড়ির কাছেই তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে (৪০) লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। শক্তিনগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এই ঘটনার পরে অনেকেই মনে করেছিলেন, উনিশের ভোটের আগে রাজনৈতিক খুন শুরু হয়ে গেল। সেই মনে করায় যে খুব একটা ভুল ছিল না, তা প্রমাণ করল সোমবার ভরসন্ধেয় বজবজের ঘটনা।

সূত্রের খবর, সিএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে গুলিবিদ্ধ মিঠুনবাবুকে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। সূত্রের খবর, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ওই পার্টি অফিসের বাইরে রাত ন’টা নাগাদ আচমকাই বোমা ফাটায় কিছু অপরিচিত ব্যক্তি। তখনই অফিসের বাইরে বেরিয়ে কী হয়েছে দেখতে আসেন মিঠুন বাবু।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মিঠুনবাবু বেরোতেই তাঁকে লক্ষ করে দু’রাউন্ড গুলি ছোড়ে আততায়ীরা। একটি গুলি তার মধ্যে পেটে লাগে তাঁর।কৃষ্ণগঞ্জের সত্যজিৎ বিশ্বাস ছিলেন মতুয়া তৃণমূল নেতা। তাঁর বাড়ি ছিল কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভার দক্ষিণ পাড়া ফুলবাড়ি এলাকায়। দিন কয়েক আগেই নদিয়ার প্রশাসনিক বৈঠকে ধান কেনাবেচায় ফড়েদের মাতব্বরির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তিনি। খুনের ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেছেন, “এটা বিজেপির কাজ। ঠিক কী কারণে এই খুন, কে খুনি, কার হাত দিয়ে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে সেটা বোঝা যাচ্ছে না।”

মিঠুনবাবু গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর ছড়াতেই এলাকায় চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে। বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। কী কারণে, কারা কাউন্সিলরকে লক্ষ করে গুলি চালাল, সে বিষয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here