দেশেরসময় ওয়েবডেস্কঃদেশের মানুষের শান্তি কামনা করে বুধবার বিকেলে পুরীর শ্রীজগন্নাথদেবের মন্দিরে পুজো দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিকেলে তিনি মন্দিরে আসেন। তাঁর হাতে পুষ্পস্তবক তুলে দেন মন্দিরের প্রধান পুরোহিত–সহ অন্য পুরোহিতরা। জগন্নাথদেবের পুজো দেওয়ার পাশাপাশি মন্দির চত্বরে অন্যান্য যে বিগ্রহ রয়েছে, সেখানেও তিনি যান। পুজোও দেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য এদিন মন্দির কমিটি বিশেষ পুজোর আয়োজন করেছিলেন।
পুজো দিয়ে বেরিয়ে এসে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমার দেশ ভাল থাকুক। মানুষে মানুষে বিভেদ, ভেদাভেদ নয়। সবাই শান্তিতে থাকুন। আমরা খুন চাই না। আমরা শান্তি চাই।’ মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘আমার হৃদয় আজ খুব কাঁদছিল। চারদিকে যা হচ্ছে আমি এসেছি শান্তির জন্য, আমার সব ভাইবোনেরা যেন ভাল থাকে। আমি তাঁদের হয়ে প্রার্থনা করার জন্য এসেছি। আমার দেশের জন্য শান্তি কামনা করে বাংলা, ওডিশা–সহ সকল পরিবারের জন্য আমি এখানে পুজো দিতে এসেছিলাম।
জগন্নাথদেবের কাছে এই প্রার্থনাই করলাম।’
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সাথে মন্দিরে আসেন। ক্রীড়া ও যুবকল্যাণমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
জগন্নাথদেবের মূল মন্দির দর্শন করে মুখ্যমন্ত্রী মুক্তি মণ্ডপে পুরোহিতদের কাছে আশীর্বাদ নেন। এরপর একে একে বিমলা মন্দির, রোহিণীকুণ্ড, বেণীমাধব, গোপেশ্বর, সাক্ষীগোপাল, কাঞ্চিগণেশ, ক্ষীরচোরা গোপীনাথ, সত্যভামা, মহালক্ষ্মী এবং সূর্যমন্দিরে তিনি যান। বেশ কিছুক্ষণ মন্দির চত্বরে দাঁড়িয়ে মূল মন্দিরশীর্ষে ধ্বজা ওড়ানো দেখেন।
পরে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিলের মিটিং আছে। তাই জগন্নাথদেবের কাছে আসার সুযোগ হল। আমি ২০১৭ সালে জগন্নাথদেবের মন্দিরে এসেছিলাম। দয়িতাপতিরা আমার বাড়িতে যান। আমার বাড়িতে জগন্নাথদেবের পুজো হয়। ধ্বজা আমার খুব ভাল লেগেছে।
ওঁরা আমাকে দিলেন। যে ধ্বজা পরানো হয়েছিল। আমি খুব গর্বিত। আমি এটা নিয়ে যাব বাংলার জন্য। বাংলার হয়ে সব মানুষের শান্তি কামনা করব। ওডিশাবাসীর জন্যও আমরা শান্তি কামনা করছি। জগন্নাথের মন্দিরে একশো শতাংশ পর্যটকই হল বাংলার। বছরে ৪ থেকে ৫ বার তাঁরা আসেন। নবীনজি (নবীন পট্টনায়েক)–র সঙ্গে আমার ফোনে কথা হয়েছে। সবাই ভাল থাকুন। জয় জগন্নাথ।